নোয়াখালীতে পিস্তল ঠেকিয়ে ব্যবসায়ী বাড়িতে ডাকাতি ও ৪ দোকানে চুরি

নিজস্ব প্রতিবেদক
গিয়াস উদ্দিন রনি- জেলা প্রতিনিধি , নোয়াখালী
প্রকাশিত: শনিবার ২৫শে জানুয়ারী ২০২৫ ০৩:২০ অপরাহ্ন
নোয়াখালীতে পিস্তল ঠেকিয়ে ব্যবসায়ী বাড়িতে ডাকাতি ও ৪ দোকানে চুরি

নোয়াখালীতে শনিবার (২৫ জানুয়ারি) ভোররাতে দুটি আলাদা চুরির ও ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। সেনবাগ উপজেলার ডমুরুয়া ইউনিয়নের কৈইয়াজলা গ্রামের ছিদ্দিক আহমদ কোম্পানীর বাড়িতে পিস্তল ঠেকিয়ে ডাকাতি করা হয়েছে, অন্যদিকে মাইজদী শহরে ৪টি দোকানে চুরির ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনাগুলোর সাথে জড়িত ব্যক্তিরা চাঞ্চল্যকরভাবে নগদ অর্থ ও মূল্যবান সামগ্রী চুরি করে নিয়ে গেছে। পুলিশের তদন্ত চলছে এবং তারা শিগগিরই পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেবে।


ডাকাতির ঘটনাটি ঘটেছে সেনবাগ উপজেলার কৈইয়াজলা গ্রামে, যেখানে ছিদ্দিক আহমদ কোম্পানীর বাড়িতে ৮-১০ জনের একটি ডাকাত দল পিস্তল ঠেকিয়ে বাড়ির মালিক এবং পরিবারের সদস্যদের জিম্মি করে বাড়ির ভিতরে তল্লাশি চালায়। ডাকাতরা নগদ ৩ লাখ টাকা, ৬ ভরি স্বর্ণ, ৪টি মোবাইল ফোন এবং মোট ১৫ লাখ টাকার মালামাল নিয়ে পালিয়ে যায়। ঘটনাটি ঘটে ভোর ৪টার দিকে এবং এ সময় বাড়ির সদস্যরা চরম আতঙ্কে ছিলেন।


মহিন উদ্দিন, বাড়ির মালিকের শালা, জানিয়েছেন যে, ছিদ্দিক কোম্পানী চট্টগ্রামে ব্যবসা করেন এবং তার মেজো বোন কহিনুর বেগম এখানে বসবাস করছেন। কহিনুরের ছেলে মিলন বিদেশ যাওয়ার জন্য ৩ লাখ টাকা জমা করে রেখেছিলেন, যা ডাকাতরা চুরি করে নিয়ে গেছে। পার্শ্ববর্তী সিসি ক্যামেরার ফুটেজে ৮ জনের ডাকাত দলের উপস্থিতি দেখা গেছে। 


এদিকে, একই দিনে মাইজদী শহরের বড় মসজিদ মোড়ের এনএস প্লাজায় তিনতলা ভবনের ৪টি দোকানে চুরি হয়। চোরেরা দোকানের তালা ভেঙে নগদ ৮২ হাজার টাকা এবং ৪০ হাজার টাকার কাপড় চুরি করে নিয়ে যায়। এই দুটি ঘটনা একে অপরের সাথে মিল রেখে ঘটেছে এবং শহরে চুরির প্রবণতা বাড়ছে বলে স্থানীয়রা উদ্বিগ্ন। 


পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে এবং তদন্ত শুরু করেছে। সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম ও সেনবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান জানিয়েছেন যে, তারা দ্রুত তদন্ত সম্পন্ন করে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেবেন। 


এই ধরনের ঘটনা সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে এবং বিশেষ করে ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সরকারের আরও কার্যকর পদক্ষেপের প্রয়োজন বলে মনে করছেন এলাকাবাসী। অনেকেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন যে, চুরির মতো ঘটনা নিয়মিত ঘটতে থাকলে সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হবে।


দোকান ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার বিষয়ে কর্তৃপক্ষের আরও মনোযোগ প্রয়োজন বলে মনে করেন স্থানীয় নাগরিকরা। বিশেষ করে চুরির ঘটনা বৃদ্ধির সাথে সাথে এটি স্পষ্ট হয়ে উঠছে যে, জনগণের নিরাপত্তার জন্য জরুরি পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।


এই ধরনের অপরাধের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সুশীল সমাজের সদস্যরা সরকারের কাছে আরও কঠোর আইন প্রণয়ন এবং বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছেন। অপরাধীদের শনাক্ত করে দ্রুত বিচার কার্যকর করার জন্য স্থানীয় জনগণও তাদের দাবি জানাচ্ছে।