ইসরাইলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতিতে হামাস: ঐতিহাসিক পরাজয় দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক
জিয়াউল হক জুয়েল (স্টাফ রিপোর্টার)
প্রকাশিত: বৃহঃস্পতিবার ১৬ই জানুয়ারী ২০২৫ ১১:১০ পূর্বাহ্ন
ইসরাইলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতিতে হামাস: ঐতিহাসিক পরাজয় দাবি

গাজায় ১৫ মাসেরও বেশি সময় ধরে চলমান সংঘর্ষের পর যুদ্ধবিরতি ও বন্দি বিনিময় চুক্তি স্বাক্ষর করেছে ইসরাইল ও হামাস। এই চুক্তিকে ইসরাইলের জন্য ‘ঐতিহাসিক পরাজয়’ বলে মন্তব্য করেছেন ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের শীর্ষ নেতা খালিল আল-হাইয়া। বৃহস্পতিবার তার এক টেলিভিশন ভাষণে এ দাবি উঠে আসে।  


আল-হাইয়া বলেছেন, গাজায় ইসরাইল তার কোনো লক্ষ্য পূরণ করতে পারেনি। বন্দি বিনিময় ও যুদ্ধবিরতি চুক্তি আমাদের জন্য একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত। এটি ইসরাইলের জন্য এক বিরাট পরাজয়, যা তাদের পরিকল্পনার ব্যর্থতার স্পষ্ট উদাহরণ।  


তিনি আরও বলেন, আমাদের প্রতিরোধ সব সময় প্রমাণ করেছে যে, ফিলিস্তিনিরা দখলদারদের কোনো ষড়যন্ত্র সফল হতে দেবে না। আমরা আমাদের অধিকার রক্ষায় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ এবং দখলদারদের সকল পরিকল্পনা ব্যর্থ করতে প্রস্তুত।  


আল-হাইয়ার দাবি, ইসরাইলি আগ্রাসন এবং তাদের ষড়যন্ত্রে হামাস কখনো নতি স্বীকার করবে না। তিনি প্রতিশ্রুতি দেন, প্রতিটি ফিলিস্তিনির রক্তবিন্দুর মূল্য ইসরাইলকে চুকাতে হবে।  


২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের আক্রমণ নিয়ে নিউইয়র্ক টাইমস এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করে, সেই হামলাটি গাজার বর্তমান যুদ্ধের সূচনা করে। আল-হাইয়া এটিকে সামরিক কৃতিত্ব এবং ফিলিস্তিনি জনগণের গর্বের বিষয় বলে উল্লেখ করেন।  


হামাসের এ নেতা ইরান-সমর্থিত লেবাননের হিজবুল্লাহ ও ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীদের প্রতিরোধ শক্তি বাড়াতে ভূমিকা রাখার জন্য ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, এসব মিত্ররা ইসরাইলের বিরুদ্ধে হামাসের লড়াইয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।  


আল-হাইয়া আরও বলেন, হামাস জেরুজালেম ও আল-আকসা মসজিদকে তাদের সংগ্রামের প্রতীক হিসেবে দেখবে। ইসরাইলের বিরুদ্ধে তাদের অবস্থান অটল থাকবে এবং কোনো প্রতিরোধের মুহূর্ত তারা হাতছাড়া করবে না।  


তার ভাষণে ইঙ্গিত দেওয়া হয়, হামাস ভবিষ্যতেও তাদের আপসহীন অবস্থান ধরে রাখবে। তাদের লক্ষ্য হলো ইসরাইলের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ জোরদার করা এবং ফিলিস্তিনের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা।