হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আলু আমদানি বন্ধ, বাড়ছে পণ্যদাম

নিজস্ব প্রতিবেদক
গোলাম রব্বানী, নিজস্ব প্রতিনিধি (দিনাজপুর)
প্রকাশিত: সোমবার ২রা ডিসেম্বর ২০২৪ ১১:৪৬ পূর্বাহ্ন
হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আলু আমদানি বন্ধ, বাড়ছে পণ্যদাম

দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশে আলু রপ্তানির অনলাইন স্লট বুকিং বন্ধ করেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ সরকার। অভ্যন্তরীণ সংকট ও দাম বৃদ্ধির কারণ দেখিয়ে রোববার (১ ডিসেম্বর) থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হয়। ফলে পেঁয়াজসহ অন্যান্য পণ্য আমদানি স্বাভাবিক থাকলেও আলু আমদানি সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে।  


আলু আমদানি বন্ধের প্রভাব বাংলাদেশি বাজারে ইতিমধ্যেই পড়তে শুরু করেছে। আমদানি বন্ধ হওয়ায় আলুর দাম কেজি প্রতি ৩ থেকে ৪ টাকা বেড়ে গেছে। হিলি বন্দরের পাইকারি বাজারে বর্তমানে ভারতীয় আলুর দাম ৬৪ থেকে ৬৫ টাকা। অন্যদিকে, পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ হওয়ার গুজব ছড়ানোর পর পেঁয়াজের দামও কেজি প্রতি ১০ থেকে ১৫ টাকা বেড়ে ৮০ থেকে ৮৫ টাকায় পৌঁছেছে।  


হিলি বন্দরে ব্যবসায়ীরা এই পরিস্থিতিতে চরম বিপাকে পড়েছেন। সিএন্ডএফ এজেন্ট এসএম রেজা আহমেদ বিপুল জানান, অনেক ব্যবসায়ী ইতোমধ্যেই আলু আমদানির জন্য এলসি (ঋণপত্র) করে রেখেছেন। আলু আমদানি না হলে এলসি করা টাকার বড় আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে।  


হিলি স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন শিল্পী বলেন, পশ্চিমবঙ্গ সরকার অনলাইন স্লট বুকিং বন্ধ করে দেওয়ায় আলুবাহী ট্রাকগুলো বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারছে না। এতে ব্যবসায়ীরা একদিকে আর্থিক ক্ষতির শিকার হচ্ছেন, অন্যদিকে দেশে আলুর বাজারেও অস্থিরতা সৃষ্টি হচ্ছে।  


হিলি কাস্টমসের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা নাজমুল হোসেন জানান, বন্দরে আসা সকল কাঁচাপণ্য দ্রুত ছাড়করণে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করা হচ্ছে। তবে আলু আমদানি বন্ধের কারণে বাজারে পণ্যের সরবরাহ কমে গেছে। গত শনিবার ও রোববার দুই দিনে হিলি বন্দর দিয়ে ভারত থেকে ৩২ ট্রাকে ৯২৩ মেট্রিকটন পেঁয়াজ এবং ৬৬ ট্রাকে ২ হাজার ৩৫ মেট্রিকটন আলু আমদানি করা হয়েছে।  


বিশ্লেষকরা বলছেন, এই সংকট দ্রুত সমাধান না হলে স্থানীয় বাজারে আলু ও পেঁয়াজের দাম আরও বাড়তে পারে। আমদানির বাধা কাটাতে ভারত ও বাংলাদেশ সরকারের মধ্যে দ্রুত সমঝোতা প্রয়োজন।