রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) বাংলা বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ড. পিএম সফিকুল ইসলাম (৭০) কে শনিবার বিকালে নগরীর সাধুরমোড় এলাকা থেকে মারধর করে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। তাকে বোয়ালিয়া থানার পুলিশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। এ বিষয়ে পুলিশ জানায়, তিনি বর্তমানে বোয়ালিয়া থানা পুলিশ হেফাজতে আছেন, এবং তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা বা অভিযোগ আছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) বোয়ালিয়া মডেল থানার ওসি মেহেদী মাসুদ জানান, "অধ্যাপক ড. পিএম সফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে স্থানীয় থানায় কোনো মামলা বা অভিযোগ রয়েছে কিনা, তা আমরা তদন্ত করছি। যদি কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়, তবে তার বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হবে।"
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, শনিবার বিকালে ড. পিএম সফিকুল ইসলাম নিজের বাসা থেকে কিছুটা দূরে হাঁটছিলেন। এ সময় কিছু রাজনৈতিক নেতাকর্মী তাকে চিহ্নিত করে ঘিরে ফেলে এবং তার সঙ্গে মারধর করতে শুরু করে। পরে স্থানীয় পুলিশকে খবর দেওয়া হলে বিকাল ৫টায় তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
ড. পিএম সফিকুল ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে শিক্ষকতা করছিলেন এবং অবসর গ্রহণের পর বিভিন্ন রাজনৈতিক কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ছিলেন এবং স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি হিসেবে কাজ করেছেন।
এছাড়া, ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে তিনি রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছিলেন, তবে তাকে মনোনয়ন দেওয়া হয়নি। সর্বশেষ তিনি নেত্রকোনা শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ ছিলেন, তবে ১৯ সেপ্টেম্বর তাকে ওই পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে আরও বিস্তারিত জানতে পুলিশ বাগমারা থানার সঙ্গে যোগাযোগ করেছে এবং সেখানকার তথ্যও সংগ্রহ করছে। পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আসন্ন তদন্তের পরেই ড. পিএম সফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এদিকে, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমাজ এবং স্থানীয়রা এই ঘটনার প্রতি চরম উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এবং বিষয়টির সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করেছেন।
**গোলাম রব্বানী**
রাজশাহী প্রতিনিধি
০১-১২-২০২৪
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।