নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে নিখোঁজের ১০ দিন পর এক বেদের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহতের নাম মো. খোকন হোসেন (৬৫), তিনি লক্ষীপুর পৌরসভার মজুপুর গ্রামের আব্দুল ওহাবের ছেলে। বর্তমানে বেগমগঞ্জের আমানউল্লাপুর ইউনিয়নের পলোয়ানপুল এলাকায় বসবাস করছিলেন।
বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সকালে উপজেলার আমানউল্লাপুর ইউনিয়নের ওয়াপদা খাল থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিহত খোকন হোসেন তিন বার বিয়ে করেছিলেন এবং ছোট স্ত্রীর সাথে ওয়াপদা খাল পাড়ে বসবাস করতেন। ১০ নভেম্বর তার স্ত্রী বেগমগঞ্জ থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে জানান, খোকন নিখোঁজ।
মরদেহ উদ্ধারের পর জানা যায়, বুধবার দিবাগত রাত একটার দিকে একটি জেলে খালে মাছ ধরতে গিয়ে টর্চ লাইটের আলোয় খোকনের মরদেহ খালের পানিতে ভাসমান অবস্থায় দেখতে পান। মরদেহটি কচুরিপানায় আটকে ছিল। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে।
বেগমগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) বখতিয়ার আলম জানান, মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। তবে মরদেহটি পঁচে যাওয়ায় শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। নিহতের পরিবার ধারণা করছে, খোকন স্ট্রোকের রোগী ছিলেন এবং স্ট্রোকের কারণে হয়তো তিনি খালে পড়ে গিয়ে আর উঠতে পারেননি। তবে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
এদিকে, খোকনের মৃত্যুতে পরিবার ও স্বজনদের মাঝে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। নিহতের ছোট স্ত্রীর অভিযোগ, তার স্বামী খোকন কোনো সমস্যায় পড়েননি, তবে কেন তিনি নিখোঁজ ছিলেন এবং কেন মৃত্যু ঘটেছে, তা জানার জন্য ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনটির দিকে তাকিয়ে আছেন তারা।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।