খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি: ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) এর ডাকে খাগড়াছড়িতে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সড়ক অবরোধ চলছে। সংগঠনের তিন কর্মী হত্যার প্রতিবাদে এই অবরোধের আহ্বান জানানো হয়।
অবরোধের ফলে ঢাকা ও চট্টগ্রামসহ দূরপাল্লার যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। আন্তঃজেলা এবং অভ্যন্তরীণ সড়কেও কোন গাড়ি চলছে না। তবে শহর ও শহরতলীতে কিছু হালকা যান চলাচল করতে দেখা গেছে। এদিকে, ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থান থেকে আসা যাত্রীবাহী নৈশ বাসগুলো পুলিশ পাহাড়ায় খাগড়াছড়িতে প্রবেশ করছে।
জেলার বিভিন্ন স্থানে অবরোধের সমর্থনে পিকেটিং করার খবর পাওয়া গেছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
খাগড়াছড়ি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল বাতেন মৃধা জানান, “অবরোধকে কেন্দ্র করে বিশৃঙ্খলা পরিস্থিতি তৈরি না হয়, সেজন্য অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। আমরা নিয়মিত টহল দিচ্ছি এবং শহরের গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।”
গতকাল খাগড়াছড়ির পানছড়ির লতিবান ইউনিয়নের শুকনাছড়ি এলাকায় দুবৃর্ত্তের গুলিতে ইউপিডিএফের তিন কর্মী—সিজন চাকমা, জয়েন চাকমা, এবং শাসন ত্রিপুরা নিহত হন। তাদের হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে ইউপিডিএফ আজকের এই অবরোধের ডাক দেয়।
অবরোধ চলাকালে শহরের সাধারণ মানুষ বিশেষ করে কর্মজীবী মানুষ সমস্যায় পড়েছেন। ব্যবসায়ীরা আর্থিক ক্ষতির শিকার হচ্ছেন, কারণ দোকানপাট খুলতে পারছেন না। স্থানীয় প্রশাসন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে চেষ্টা করছে এবং মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তৎপর রয়েছে।
অবরোধের এই পরিস্থিতি শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য একটি চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা হচ্ছে। স্থানীয় নেতারা বলছেন, আলোচনা ও সমাধানের মাধ্যমে পরিস্থিতি মোকাবেলার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। ইউপিডিএফের এই আন্দোলনের পেছনের কারণগুলো খতিয়ে দেখা জরুরি, যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের সহিংসতা প্রতিরোধ করা যায়।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।