শাহপরান মাজারে সংগীত ও বাদ্যযন্ত্র ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা

নিজস্ব প্রতিবেদক
জেলা প্রতিনিধি, সিলেট
প্রকাশিত: শনিবার ৭ই সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১১:১৮ পূর্বাহ্ন
শাহপরান মাজারে সংগীত ও বাদ্যযন্ত্র ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা

সিলেটের হযরত শাহপরান (রহ.) মাজারে প্রতিবছর অনুষ্ঠিত ওরস উপলক্ষে গান-বাজনা এবং বিভিন্ন অসামাজিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ নিয়ে মাজার কর্তৃপক্ষ একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মাজারের খাদিম সৈয়দ কাবুল আহমদ বুধবার এক ঘোষণায় জানিয়ে দিয়েছেন যে, এখন থেকে মাজারে ওরস উপলক্ষে গান-বাজনা সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।


খাদিম সৈয়দ কাবুল আহমদ জানান, “আমরা মাজার কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে ঘোষণা করছি যে, মাজারে ওরস উপলক্ষে গান-বাজনা সম্পূর্ণ বন্ধ থাকবে। কেউ বাদ্যযন্ত্র নিয়ে আসবেন না। প্রতি বৃহস্পতিবার যা গান-বাজনা করা হয়, তা আসলে মাদকের ব্যবসা এবং অসামাজিক কার্যকলাপের আড়ালে চলতে থাকে। এই সমস্ত কর্মকাণ্ড আমাদের মাজারের প্রতি এবং ইসলামের প্রতি যথেষ্ট অসম্মানজনক।”


তিনি আরও বলেন, “এই ধরনের কর্মকাণ্ড মাজারের শান্তি ও পবিত্রতা বজায় রাখতে বিঘ্ন ঘটাচ্ছে। তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে, মাজারে সকল ধরণের গান-বাজনা বন্ধ থাকবে। কোনো ব্যক্তি যদি গান-বাজনার চেষ্টা করেন, তাহলে আমরা তা কঠোরভাবে প্রতিহত করবো।”


মাজারের খাদিম পরিবার স্পষ্টভাবে জানান যে, এই পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে তারা মাজারের পবিত্রতা রক্ষা করতে চান এবং সাম্প্রতিক সময়ে ঘটে যাওয়া অসামাজিক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নিতে চান। বিশেষ করে, প্রতি বৃহস্পতিবার যা গান-বাজনা করা হতো, তা মাদকের ব্যবসা এবং অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে। 


মাজারের দর্শনার্থীদের জন্য খাদিম পরিবারের পক্ষ থেকে এ সিদ্ধান্তের মাধ্যমে একটি পরিষ্কার বার্তা দেয়া হয়েছে যে, মাজারের আঙ্গিনায় ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান ও সেবা-শুশ্রূষার পরিবেশ বজায় রাখতে তাদের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।


এই সিদ্ধান্তের পর মাজারে আসা ভক্তদের মধ্যে নানা প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। কেউ কেউ এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন, আবার কিছু ভক্ত এই পরিবর্তনের বিরুদ্ধে অভিব্যক্তি জানিয়েছেন। তবে, খাদিম পরিবারের পক্ষ থেকে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ধর্মীয় স্থানে শান্তি ও পবিত্রতা রক্ষা করা তাদের প্রধান লক্ষ্য।


মাজার কর্তৃপক্ষ আশা করছে যে, নতুন এই নিয়ম মাজারের পবিত্র পরিবেশ বজায় রাখতে সহায়ক হবে এবং ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানের প্রতি শ্রদ্ধা বৃদ্ধি করবে।