ভূরুঙ্গামারীতে এক শিক্ষক পাঁচ বছর যাবত বিদ‍্যালয় অনুপস্থিত

নিজস্ব প্রতিবেদক
শামসুজ্জোহা সুজন , উপজেলা প্রতিনিধি, (ভূরুঙ্গামারী) কুড়িগ্রাম
প্রকাশিত: সোমবার ২৪শে জুন ২০২৪ ১০:৫০ পূর্বাহ্ন
ভূরুঙ্গামারীতে এক শিক্ষক পাঁচ বছর যাবত বিদ‍্যালয় অনুপস্থিত

কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীর তিলাই ইউনিয়নের দক্ষিণ তিলাই সরকারি প্রাথমিক বিদ‍্যালয়ের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে দায়িত্ব ফাঁকি দিয়ে প্রায় পাঁচ বছর যাবত বিদেশে অবস্হান করার অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত ওই শিক্ষকের নাম মাহফুজা খাতুন।


বিদ‍্যালয় পরিচালনা কমিটির অভিযোগ একাধিকবার মৌখিকভাবে বিষয়টি শিক্ষা দপ্তরকে জানানো হলেও কোনো কাজ হয়নি। অপরদিকে শিক্ষা দপ্তরের বক্তব্য বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানাগেছে, দক্ষিণ তিলাই স. প্রা. বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক মাহফুজা খাতুন ২০১৯ সালের ১৫ জুন থেকে বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত রয়েছেন।খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, মাহফুজা খাতুনের স্বামী সরকারি চাকুরীর সুবাদে মরক্কোতে কমর্রত আছেন। মাহফুজা খাতুন দীর্ঘদিন যাবত সেখানেই অবস্থান করছেন।


বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির বর্তমান সভাপতি খয়বর আলী ও সাবেক সভাপতি আব্দুস সামাদ প্রামাণিক বলেন, বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষিকা প্রায় পাঁচ বছর যাবত বিদ্যালয়ে আসেননা। তার স্বামী সরকারি চাকুরীর সুবাদে মরক্কোতে কমর্রত। শিক্ষিকা স্বামীর সাথে সেখানেই অবস্থান করছেন। শিক্ষা দপ্তরে বিষয়টি অসংখ্যবার মৌখিকভাবে জানানো হয়েছে কিন্তু কোনো কাজ হয়নি। পদ ধরে রাখার কারণে অন্য কোনো শিক্ষক এই বিদ‍্যালয়ে বদলি হয়ে আসতে পারছেন না। শিক্ষক সংকটে বিদ‍্যালয়ের পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে।


দক্ষিণ তিলাই স. প্রা. বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (চ.দা.) আমিনুল ইসলাম বলেন, সহকারি শিক্ষক মাহফুজা খাতুন ২০১৯ সালে মাতৃত্বকালীন ছুটি নিয়েছিলেন। একই বছর বিদেশ গমনের জন্য ৪৫ দিনের ছুটি নেন। সেই থেকে তিনি বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত রয়েছেন। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হয়েছে। 


তবে তিনি বেতন পাচ্ছেন কি-না কিংবা তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে কি-না অফিসিয়াল ভাবে জানিনা?অভিযুক্ত শিক্ষিকা মাহফুজা খাতুনের বক্তব্য জানতে তার মেসেঞ্জারে একাধিকবার ক্ষুদে বার্তা পাঠানো হলেও তিনি কোনো জবাব দেননি।কুড়িগ্রাম জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার নবেজ উদ্দিন সরকার বলেন, অভিযুক্ত শিক্ষক যেদিন থেকে কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন সেদিন থেকে তার বেতন বন্ধ রয়েছে। তাকে চাকুরি থেকে অব্যাহতি দানের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।