বস্তুনিষ্ঠ ও দায়িত্বশীল সাংবাদিকতার সুযোগ কাজে লাগাতে হবে: ইলিয়াস হোসেন

নিজস্ব প্রতিবেদক
মোঃ নুর আলম উপজেলা প্রতিনিধি - গোপালপুর , টাঙ্গাইল
প্রকাশিত: শনিবার ২৮শে সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৯:২৫ অপরাহ্ন
বস্তুনিষ্ঠ ও দায়িত্বশীল সাংবাদিকতার সুযোগ কাজে লাগাতে হবে: ইলিয়াস হোসেন

দৈনিক কালবেলার যুগ্ম সম্পাদক এবং ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সভাপতি ও সম্পাদক ইলিয়াস হোসেন বলেছেন, “সাম্প্রতিক বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে স্বৈরতান্ত্রিক সরকারের পতনের পর মিডিয়া জগতে যে পরিবর্তন সূচিত হয়েছে, তাতে বস্তুনিষ্ঠ ও দায়িত্বশীল সাংবাদিকতার সুযোগ এসেছে। গ্রামীণ সাংবাদিকদের সেই সুযোগ গ্রহণ করে মিডিয়ার প্রতি জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনতে হবে।”


গতকাল শুক্রবার রাতে গোপালপুর প্রেসক্লাবে স্থানীয় সংবাদকর্মীদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রেসক্লাব সভাপতি জয়েনাল আবেদীন। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মানবজমিন প্রতিনিধি অটল শরীয়ত উল্লাহ, দৈনিক দিনকাল প্রতিনিধি আব্দুস সালাম খান, দৈনিক আজকের পত্রিকা প্রতিনিধি কে এম মিঠু, এবং কালবেলা প্রতিনিধি নুরুআলম।


সভায় ইলিয়াস হোসেন আরও উল্লেখ করেন, “এখন সময় এসেছে সাংবাদিকদের নিজেদের মেধা ও দক্ষতা কাজে লাগানোর। সাংবাদিকতা শুধুমাত্র তথ্য সংগ্রহের বিষয় নয়, বরং একটি জাতির বিবেক হিসেবে কাজ করার দায়িত্বও পালন করতে হয়। আমাদের উচিত সঠিক তথ্য তুলে ধরা এবং জনগণের কাছে পৌঁছে দেওয়া।” তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, “প্রতিটি সংবাদে সত্য প্রকাশ করা জরুরি, কারণ জনগণের প্রতি আমাদের দায়বদ্ধতা রয়েছে।”


মতবিনিময় সভার পূর্বে মানবজমিন প্রতিনিধি অটল শরীয়ত উল্লাহকে প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহসভাপতি হিসেবে নির্বাচন করা হয় এবং তাকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। ক্লাবের গঠনতন্ত্র মোতাবেক, এই পদটি দীর্ঘদিন শুন্য ছিল আব্দুস সাত্তার খানের পরলোকগমনের পর। গঠনতন্ত্র সংস্কার করার জন্য অটল শরীয়ত উল্লাহকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়।


সভায় আরও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, আগামী ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহের যেকোন দিন প্রেসক্লাবের দ্বিবার্ষিক সম্মেলন ও নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন কার্যনির্বাহী কমিটি গঠিত হবে। গঠনতন্ত্র সংস্কার সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত বর্তমান গঠনতন্ত্রের ধারায় ক্লাব পরিচালনা ও দায়িত্ব পালন করে যাবে সদস্যরা।


মতবিনিময় সভাটি স্থানীয় সাংবাদিকদের মধ্যে একাত্মতা ও সহযোগিতার পরিবেশ সৃষ্টি করে, এবং সবাই একত্রিত হয়ে মিডিয়ার মান উন্নয়নে কাজ করার জন্য অঙ্গীকার করেন। স্থানীয় সাংবাদিকরা এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, “এমন উদ্যোগ মিডিয়ার প্রতি জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনতে সহায়ক হবে।”