কক্সবাজারের টেকনাফের সাবরাংয়ে বিদেশি জি-৩ রাইফেল, ম্যাগাজিন এবং গোলাবারুদসহ এক যুবককে আটক করেছে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড। আটক যুবকের পরিবার অভিযোগ করেছে যে, তাঁকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে ফাঁসানো হয়েছে।
শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) ভোর রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সাবরাং এলাকা থেকে এই অস্ত্র উদ্ধার ও যুবক মো. শহিদ উল্লাহ (৩৭) আটক হন। কোস্ট গার্ডের টেকনাফ স্টেশন লে. কমান্ডার এইচ এম লুৎফুল লাহিল মাজিদ জানান, শহিদ উল্লাহ দীর্ঘদিন ধরে মিয়ানমার থেকে অস্ত্র পাচার করে টেকনাফের ডাকাতদলকে সরবরাহ করে আসছিলেন।
অভিযানের সময় শহিদ উল্লাহর বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে সাদা রঙের বস্তায় মোড়ানো একটি জি-৩ রাইফেল, ৮ রাউন্ড তাজা গোলা এবং একটি দেশীয় চাপাতি উদ্ধার করা হয়। আটক শহিদ উল্লাহর বিরুদ্ধে অভিযোগের ভিত্তিতে কোস্ট গার্ড দাবি করেছে যে, তিনি অবৈধ অস্ত্রের ব্যবসায় জড়িত।
তবে শহিদ উল্লাহর পরিবার এ ঘটনাকে ষড়যন্ত্র হিসেবে উল্লেখ করে সংবাদ সম্মেলন করেছে। তার ছোট ভাই মো. রাকিব উল্লাহ অভিযোগ করেছেন যে, কোস্ট গার্ডের সদস্যরা রাতে শহিদকে ফাঁসানোর জন্য অস্ত্র ও গোলাবারুদ দিয়ে সাজিয়ে দিয়েছে। তিনি দাবি করেন, শহিদ একজন ব্যবসায়ী এবং মুন্ডার ডেইল ঘাটের পরিচালনা কমিটির সভাপতি।
আটক শহীদের স্ত্রী ই্য়াছমিন আক্তার বলেন, “আমার স্বামী স্থানীয় মাদক ও মানব পাচারকারীদের ষড়যন্ত্রের শিকার। তারা আমার স্বামীকে ফাঁসানোর জন্য অস্ত্র রেখে গেছে।” তিনি অবৈধ অস্ত্র, মাদক এবং মানব পাচারের সঙ্গে শহীদের কোনো সম্পর্ক নেই বলে দাবি করেন এবং ফাঁসানো মামলার বিরুদ্ধে সুবিচার চান।
এদিকে, আটক শহীদ উল্লাহকে জব্দকৃত অস্ত্রসহ পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য টেকনাফ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। পরিবারটি অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।