ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে পাথরঘাটার নির্বাচন রবিবার (৯ জুন) অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিচ্ছিন্ন কিছু সহিংসতা থাকলেও শেষ পর্যন্ত কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়া-ই দিনভর নির্বাচন শেষে এই উপজেলায় নেতৃত্বে নতুন তিন মুখ যোগ হল উপজেলাবাসীর সেবা দেয়ার লক্ষে।
উপজেলা চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা কবিরকে হারিয়ে নির্বাচিত হয়েছেন এনামুল হোসাইন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফাতিমা পারভীন কে হারিয়ে নির্বাচিত হয়েছেন নাজমুন্নাহার পাপড়ি, ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন ইঞ্জিনিয়ার সৈয়দ মো. নাজেস আফরোজ নয়ন। নবনির্বাচিত এই তিন প্রার্থী এবছর-ই প্রথম বারের মত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন।
রবিবার (০৯ জুন)রাত ১০টার দিকে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেন অতিরিক্ত নির্বাচন অফিসার ও রিটার্নিং কর্মকর্তা দিলিপ কৃমাড় হাওলাদার। এর আগে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ৫৯টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী, পাথরঘাটা উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও জেলাপরিষদের সাবেক সদস্য এনামুল হোসাইন দোয়াত কলম প্রতীক নিয়ে ২৪ হাজার ২১০ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কালমেঘা ইউনিয়নের তিনবারের ইউপি চেয়ারম্যান নুর আফরোজ হেপী মোটরসাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন ২২ হাজার ২২৯ ভোট। এছাড়া বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তফা গোলাম কবির কাপ পিরিচ প্রতীকে পেয়েছেন ১৫ হাজার ৩২৪ ভোট,সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রিপন মোল্লা আনারস প্রতীকে পেয়েছেন দুই হাজার ৬০০ ভোট, হাফিজুর রহমান সোহাগ ঘোড়া প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন তিন হাজার ৭৭৪ ভোট, আকন সহিদ চিংড়ী প্রতীকে ৭২৩ ভোট এবং হেমায়েত হোসেন ভুট্টো হেলিকপ্টার প্রতীকে পেয়েছেন ৩১৭ ভোট।
ভাইস চেয়ারম্যান পদে টিউবওয়েল প্রতীক নিয়ে ২৯ হাজার ৭২১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন সৈয়দ মো: নাজেস আফরোজ। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো: শওকত হাচান রমিম মাইক প্রতীক নিয়ে ভোট পেয়েছেন ২৫ হাজার ১৫৪। এছাড়া জামাল আহমেদ উড়ো জাহাজ প্রতীকে ৫ হাজার ৯৫১ ভোট, রেজাউল করিম রাজা তালা প্রতীকে ৬ হাজার ৮১৫ ভোট, জাহিদ হাসান বই প্রতীকে ১ হাজার ছয় ভোট পেয়েছেন।
মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২৯ হাজার ৬৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন ফুটবল প্রতীকের নাজমুন্নাহার পাপড়ি মল্লীক। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান কলস প্রতীকের ফাতিমা পারভীন পেয়েছেন ১৪ হাজার ২৫২ ভোট। এছাড়া ফারজানা হাস প্রতীকে পেয়েছেন ১০ হাজার ৪৩৩ ভোট, নীলু রানী প্রজাপতি প্রতীকে পেয়েছেন ১৪ হাজার ৩৭৫ ভোট।
উল্লেখ্য, এই উপজেলায় ১ লাখ ৪৪ হাজার ৭৩৩ ভোটের মধ্যে ভোট প্রদান করেছে ৭০ হাজার ৯৩১ জন, ভোট কাস্টিং হয়েছে ৪৯.৩৫%। স্থানীয় বিশেষজ্ঞ মহল দাবি করেন, ঘূর্ণিঝড় রেমাল এর কারণে স্থগিত হওয়া এবং তারিখ পরিবর্তন হওয়ায় নতুনমুখ নির্বাচিত হয়েছে। মানুষ পুরাতন নেতৃত্ব বদলে দিয়েছে ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।