দেবীদ্বারে শিশু ধর্ষণের পর পালিয়েছে ভণ্ড পীর; ৮ দিনেও হয়নি গ্রেফতার

নিজস্ব প্রতিবেদক
শফিউল আলম রাজীব, জেলা প্রতিনিধি কুমিল্লা
প্রকাশিত: শনিবার ১০ই জুন ২০২৩ ০৯:৩৬ অপরাহ্ন
দেবীদ্বারে শিশু ধর্ষণের পর পালিয়েছে ভণ্ড পীর; ৮ দিনেও হয়নি গ্রেফতার

কুমিল্লার দেবীদ্বারে লিচু খাওয়ানোর লোভ দেখিয়ে ৭ বছরের দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ুয়া এক শিশু শিক্ষার্থীকে আস্তানায় ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করলো ভণ্ড পীর। ঘটনার ৮দিনেও অভিযুক্ত ইকবাল শাহ গ্রেফতার না হওয়ায় ভুক্তভোগী পরিবার সংকিত।


মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ২ জুন শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে দেবীদ্বার উপজেলার ফতেহাবাদ ইউনিয়নের সাইচাপাড়া গ্রামের মৃত শরাফত আলীর পুত্র ইকবাল শাহ একই বাড়ির নাতনি সম্পর্কে স্থানীয় একটি কিন্ডার গার্টেনের ২য় শ্রেণির ছাত্রীকে লিচু দেয়ার কথা বলে তার আস্তানায় নিয়ে ধর্ষণ করে। পরে ভুক্তভোগী ওই শিশুটি বাড়িতে গিয়ে ব্যথায় ছটফট করলে তার পরিবার ঘটনার বিস্তারিত শুনে শিশুটিকে চিকিৎসকের নিকট নিয়ে যায়।


শিশুটির মা ও মামলার বাদী সীমা আক্তার বলেন, এলাকার একটি প্রভাবশালী চক্র এবিষয়ে মামলা না করতে তাকে চাপ দিয়ে যাচ্ছিল, তারা চেয়েছিল সালিশের মাধ্যমে এলাকায় ঘটনার মীমাংসা করতে। সঠিক বিচারের আসায় পরে তিনি ৬জুন মঙ্গলবার রাতে একই বাড়ির সম্পর্কে চাচাশ্বশুর ইকবাল শাহকে আসামী করে দেবীদ্বার থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে মামলা দায়ের করেন। যাহার মামলা নং-৫/১৩২।


স্থানীয়রা জানান, ইকবাল শাহ দীর্ঘদিন (প্রায় ২০ বছর) যাবৎ নিজেকে পীর দাবি করে নিজ বাড়িতে ‘সাইচাপাড়া দরবার শরীফ’ নামে এক আস্তানা তৈরী করে মানুষের সাথে প্রতারণা করে আসছেন। বাড়িতে প্রায়ই গাঁজার মজমা বসাতো, এলাকায় তার প্রভাবে কেউ মুখ খুলতে চাইতো না। মাঝে মধ্যে ওরস করতো, ওরসে নারীদের সাথে নিয়ে অসামাজিক কর্মকান্ড চলতো। স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল তার এসব কাজে সহায়তা করতো। মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করে ফোন বন্ধ থাকায় অভিযুক্ত ইকবালের সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি। 


এবিষয়ে দেবীদ্বার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কমল কৃষ্ণ ধর শনিবার বিকেলে জানান, এঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। ভিক্টিম শিশুটির ডাক্তারী পরীক্ষা নীরিক্ষা ও ২২ধারায় জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে ওই পীর আস্তানা ছেড়ে পালিয়েছে, তাকে গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।