শিশুদের মুখে হাসি ফুটাতে হাকিমপুর ফাউন্ডেশনের ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি

নিজস্ব প্রতিবেদক
গোলাম রব্বানী, উপজেলা প্রতিনিধি হিলি (দিনাজপুর)
প্রকাশিত: রবিবার ২রা জুলাই ২০২৩ ১০:০৩ অপরাহ্ন
শিশুদের মুখে হাসি ফুটাতে হাকিমপুর ফাউন্ডেশনের ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি

ঈদ মানে আনন্দ। ঈদ মানে খুশি। সেই আনন্দ সবার সাথে ভাগাভাগি করে নিতে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের পাশে দাঁড়িয়েছেন  এবং এক বেলা ভালো উন্নত মানের খাবার খাওয়ালেন দিনাজপুরের হাকিমপুর হিলি সীমান্তবর্তী উপজেলার স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন 'হাকিমপুর ফাউন্ডেশন’। পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে ৭০ জন শিশুকে এক বেলা উন্নত খাবার হিসেবে বিরিয়ানি, মাংস, ডাল, দই, মিষ্টি, কোক খাওয়ালেন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন হাকিমপুর ফাউন্ডেশন। আর এ উদ্যোগের পেছনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছেন ফাউন্ডেশন উপদেষ্টা হাকিমপুর হিলি পৌরসভার মেয়র জামিল হোসেন চলন্ত ও প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সোহাগ সরকার। 


বিষয়টি ১ জুলাই রাতে গণমাধ্যম কর্মীদের নিশ্চিত করেছেন সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সোহাগ সরকার। 


তিনি জানান, ঈদের তৃতীয় দিন ১ জুলাই  শনিবার দুপুরে পৌর শহরের দক্ষিণ বাসুদেবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ কার্যক্রমের আয়োজন করেন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এর সদস্যরা। এসময় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সোহাগ সরকার, সাব্বির হোসেন পলাশ, মারুফ আহমেদ, নিরব, অর্নব, অনিক, মোশারফ, রিয়াদ, মোস্তাকিম, সৌরভ, দীপু, চলন্ত, বিশালসহ আরও অনেকে। 


৭০ জন শিশু-কিশোর ঈদ আনন্দে তাদের পছন্দের ভালো খাবার খেয়ে মহাখুশি হয়েছে। হাকিমপুর পৌর শহরের রাজু, বেবি, রাজিব, ফয়জুল করিম, শাহিনা, জুবায়ের হোসেন, সাফি খাতুন, লিজা ও সোনিয়া বলে, আমরা আগে কখনো এভাবে ঈদে এতো ভালো খাবার পাইনি। হাকিমপুর ফাউন্ডেশন আমাদের সেই সুযোগ করে দিয়েছে। ঈদ উপলক্ষে উন্নত ও ভালো খাবার খেয়ে আমরা অনেক খুশি হয়েছি।


ফাউন্ডেশন উপদেষ্টা ও পৌর মেয়র জামিল হোসেন চলন্ত বলেন, আমাদের উদ্দেশ্য নিজেদের তুলে ধরা নয়। অন্যদের ভালো কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত করা, উদ্বুদ্ধ করা। দেশের বিত্তবানরাও এভাবে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াবেন, ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করে নিবেন বলে আমাদের প্রত্যাশা। তরুণ প্রজন্মের ছেলে হিসেবে সোহাগ সরকার তার সহপাঠী, বন্ধুদের সাথে নিয়ে সবসময় পজিটিভ কাজ করে যাচ্ছেন।


তিনি আরও বলেন, হাকিমপুর ফাউন্ডেশন এর 'তরুণরা' সব সময় অসহায় ছিন্নমূল মানুষের পাশে দাড়িয়েছে। করোনা কালিন সময় থেকে তারা কাজ করে যাচ্ছেন। করোনার সময় অসহায় মানুষকে খাদ্যসামগ্রী দিয়েছেন। এছাড়া বিনামূল্যে সবজি বাজার, রোজায় ইফতার বিতরণ, দরিদ্র মেধাবীর মাঝে শিক্ষা উপকরণ বিতরণসহ বিভিন্ন সেবামূলক কাজ করে যাচ্ছেন সংগঠনের তরুণ সদস্যরা। আমি তাদের পাশে থেকে সার্বিক সহযোগিতা ও উৎসাহ দেয়ার চেষ্টা করি।