দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম দিনাজপুরে হিলি স্থলবন্দর, ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট ও সীমান্তের জিরো পয়েন্ট, ভারতীয় হিলি ইমিগ্রেশন ও কাস্টমস পরিদর্শন শেষে বাংলাহিলি সি এন্ড এফ এজেন্ট এসোসিয়েশন ও স্থলবন্দরের আমদানি রফতানিকারক গ্রুপের নেতাদের সাথে মতবিনিময় করেন বাংলাদেশের রাজশাহীতে নিযুক্ত ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার মনোজ কুমার।
রবিবার (০২ এপ্রিল) দুপুর ১২টার দিকে তিনি রাজশাহী থেকে দিনাজপুরের হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট পরিদর্শনে আসেন। এ সময় তাকে হাকিমপুর উপজেলা চেয়ারম্যান হারুন উর রশীদ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ নূর-এ আলম ও হাকিমপুর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার শরিফুল ইসলাম, পৌর মেয়র জামিল হোসেন, ভাইস চেয়ারম্যান শাহিনুর রেজা শাহীন, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আবু সায়েম মিয়া, হিলি ইমিগ্রেশন ওসি শেখ আশরাফুল আলীসহ কাস্টমস ও বিভিন্ন সংস্থার পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়।
পরে ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। এরপর তিনি চেকপোস্ট গেটের শূন্যরেখায় গিয়ে বিজিবি ও বিএসএফের কর্মকান্ড পরিদর্শন এবং কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করেন। এ সময় হিলি হিলি সিপি ক্যাম্পের বিজিবির সদস্যরা তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। এরপরে হাইকমিশনার সীমান্ত দিয়ে ভারতের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে সেখানে ভারতের হিলি ইমিগ্রেশন, কাস্টমসের বিভিন্ন অবকাঠামো ও কার্যক্রম পরিদর্শন এবং কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করেন। বিএসএফের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় শেষে তিনি আবারও বাংলাদেশে ফিরে আসেন।
পরে স্থানীয় ডাকবাংলো চত্বরে পুলিশের একটি চৌকস দল তাকে অভ্যর্থনা জানান। এরপর তিনি সেখানে স্থানীয় প্রশাসন ও ব্যবসায়ীকদের সঙ্গে বৈঠক করেন এবং দুপুরের খাবার শেষ করেন।
দুপুরের পরে তিনি হিলি স্থলবন্দরের পানামা পোর্ট ও হিলি কাস্টমস পরিদর্শনে আসেন। এসময় তাকে হিলি কাস্টমস এর সহকারী কমিশনার বায়জিদ হোসেন, হিলি পানামা পোর্ট লিংক লিমিটেডের পক্ষ থেকে জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেনসহ অনেকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। পরে কাস্টমস কর্মকর্তাদের সাথে তিনি দুই দেশের আমদানি রফতানি বিষয়ে সুবিধা অসুবিধা নিয়ে মতবিনিময় করেন।
সবশেষে তিনি বাংলাহিলি সি এন্ড এফ এজেন্ট এসোসিয়েশন ও হিলি বন্দরের আমদানি রফতানি কারক গ্রুপের কার্যালয়ে আসেন। এসময় বাংহিলি সি এন্ড এফ এজেন্ট এসোসিয়েশন ও আমদানি রফতানি কারক গ্রুপের পক্ষ থেকে তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো ও সম্মাননা ক্রেষ্ট দেওয়া হয়। মতবিনিময় সভায় ব্যবসায়িক নেতারা ব্যবসায়িক পাসপোর্ট ভিসা পাঁচ বছর মেয়াদি ও ভারতের হিলি'র রাস্তা প্রশস্ত করন ওপারে কোয়ারান্টাইন অফিস স্থাপনের দাবি জানান।
এ সময় তিনি বলেন, এই বন্দর দিয়ে কীভাবে আমদানি-রফতানি কার্যক্রম আরও গতিশীল করা যায় এবং যাত্রী পারাপার বাড়ানো যায়, সেটা দেখতেই আমার এই প্রথম সফর। হিলি স্থলবন্দরে বিদ্যমান যেসব সুযোগ-সুবিধা রয়েছে, এগুলোর উন্নয়ন ঘটিয়ে দুই দেশই যেন উপকৃত হয় সে জন্য আজ এই পরিদর্শন। এছাড়া ভারতীয় হিলি'র রাস্তা প্রশস্ত করন, পাঁচ বছরের মাল্টিপাস পাসপোর্ট ভিসা ও কোয়ারান্টাইন অফিস স্থাপনের বিষয়গুলো যথাযথ কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে সেগুলো দ্রুত সমাধান করে বন্দরের কার্যক্রম আরও গতিশীল করা হবে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।