জিপিএ-৫ পেয়েও অর্থের অভাবে কলেজে ভর্তি হওয়া অনিশ্চিত কেয়া’র

নিজস্ব প্রতিবেদক
এইচ.এম.এ রাতুল, জেলা প্রতিনিধি, বরিশাল।
প্রকাশিত: বৃহঃস্পতিবার ১লা ডিসেম্বর ২০২২ ০৬:৩৭ অপরাহ্ন
জিপিএ-৫ পেয়েও অর্থের অভাবে কলেজে ভর্তি হওয়া অনিশ্চিত কেয়া’র

বরিশালের আগৈলঝাড়ায় অর্থের অভাবে কলেজে ভর্তিসহ লেখা-পড়া অনিশ্চিত হয়ে পরেছে গোল্ডেন জিপিএ-৫ পাওয়া মেধাবী শিক্ষার্থী কেয়া আক্তারের।


 সে আগৈলঝাড়া উপজেলার গৈলা ইউনিয়নের উত্তর শিহিপাশা গ্রামের বাদশা সরদারের মেয়ে।


 কেয়ার একবছর বয়সের সময় ও ১৪ বছর পূর্বে কেয়ার পিতা বাদাম বিক্রেতা বাদশা সরদার মারা যান। তার পরে এলাকাবাসী ও আত্মীয়-স্বজনের কাছে হাত-পেতে সংসার চালান মা রাশিদা বেগম।


 কেয়া আক্তার দারিদ্রাকে পিছনে ফেলে এসএসসি পরীক্ষায় সরকারী গৈলা মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে। আভাব-অনাটন ও টানাটানির সংসারে কেয়া আক্তার দৈনিক ৮থেকে ১০ঘন্টা পড়াশুনার পাশাপাশি মাকে সাংসারিক কাজে সহযোগিতা করত।


 অদম্য মেধাবী ছাত্রী কেয়া আক্তারের সাথে কথা বলে জানা গেছে, তার এই সাফল্যের পিছনে সবচেয়ে বেশী অবদান রয়েছে বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সহযোগিতা ও অনুপ্রেরণা এবং নিজের ইচ্ছাশক্তি। শিক্ষকদের সহযোগিতা ও অনুপ্রেরণায় অনুপ্রানিত হয়ে অতিদরিদ্র পরিবারের মেয়ে কেয়া বহুকষ্টে এই কৃর্তিত্ব অর্জন করলেও ভবিষ্যতে চিকিৎসক হয়ে দেশের দরিদ্র মানুষের সেবা করতে চান। 


 কেয়া আক্তারের মা রাশিদা বেগম বলেন, অভাব-অনটনের টানাটানির সংসারে সাত সন্তানের মধ্যে কেয়া সবার ছোট সন্তান। পরীক্ষার সময় ভালো একটি জামা-কাপড় কিনে দিতে পারিনি। এমনকি পরীক্ষার সময় ভালো খাবারও খেতে দিতে পারিনি। এর পরেও মেয়ের এই সাফল্যে আমরা গর্ববোধ করছি। বর্তমানে অর্থের অভাবে কেয়াকে ভালো কলেজে ভর্তি হওয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে বলেও জানান তিনি। তাইতো সমাজের বিত্তবানদের কাছে মেয়ের লেখা-পড়ার জন্য সাহায্য ও সহযোগিতার আহবান জানান মেধাবী ছাত্রী কেয়ার মা।


 সরকারী গৈলা মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক জহিরুল হক বলেন, মৃত বাদশার অসহায় পরিবারের সকল সন্তান লেখা পড়ায় মেধাবী হওয়ায় ওই পরিবারের কোন শিক্ষার্থীর কাছ থেকে পরীক্ষার ফিসহ কোন টাকা পয়সা নেওয়া হত না। কেয়ার মত শিক্ষার্থীরাই আমাদের বিদ্যালয়ের গর্ব।