প্রকাশ: ২৩ জুন ২০২৫, ১০:৫১
দেশের প্রাথমিক শিক্ষায় শিশুদের উপস্থিতি ও মনোযোগ বাড়াতে নতুন করে চালু হতে যাচ্ছে ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ফিডিং কর্মসূচি’। ২০২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে দেশের ৬২ জেলার ১৫০টি নির্বাচিত উপজেলায় এই উদ্যোগ বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। এই কর্মসূচি চালুর প্রস্তুতি হিসেবে ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তাদের হালনাগাদ তথ্য পাঠানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
রোববার এক অফিস আদেশে প্রকল্প পরিচালক ও যুগ্ম সচিব মোহাম্মদ হারুন-অর-রশীদ এই তথ্য নিশ্চিত করেন। এতে বলা হয়, ফিডিং প্রকল্পের আওতাভুক্ত প্রত্যেক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের তালিকা এবং সংশ্লিষ্ট জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাদের তথ্য নির্ধারিত ছকে প্রস্তুত করতে হবে।
প্রত্যেক জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে ৩০ জুনের মধ্যে তথ্য প্রেরণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তথ্য পাঠাতে হবে ই-মেইলের মাধ্যমে, যেখানে পিডিএফ এবং সফট কপির পাশাপাশি হার্ড কপি পাঠানো বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। তথ্য পাঠানোর ফরমেট নির্ধারিত হয়েছে এমএস এক্সেল ফরম্যাটে ও নির্দিষ্ট ফন্টে।
এই প্রকল্পের আওতায় কক্সবাজার ও বান্দরবান বাদে দেশের সকল বিভাগের মোট ৬২ জেলার ১৫০টি উপজেলা অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। এই কর্মসূচি বাস্তবায়িত হচ্ছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এবং বাস্তবায়নে কাজ করছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।
প্রকল্প পরিচালকের কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে, তথ্য প্রেরণ ও সমন্বয় কাজের তত্ত্বাবধান করছেন প্রকল্প পরিচালকসহ উপ-প্রকল্প পরিচালক এবং সহকারী প্রকল্প পরিচালক। সংশ্লিষ্ট সকল পর্যায়ের কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে নির্ভুল ও দায়িত্বশীলভাবে তথ্য পাঠাতে।
এই স্কুল ফিডিং কর্মসূচি দেশের প্রাথমিক শিক্ষায় একটি গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক উদ্যোগ হিসেবে বিবেচিত। এর মাধ্যমে শিশুদের পুষ্টির চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হয় এবং বিদ্যালয়ে উপস্থিতির হার বাড়ে।
বিশেষ করে দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত এলাকার শিশুরা এই কর্মসূচি থেকে সবচেয়ে বেশি উপকৃত হয়। অভিভাবকরা সন্তানদের বিদ্যালয়ে পাঠাতে উৎসাহী হন এবং শিশুদের পড়াশোনায় মনোযোগও বৃদ্ধি পায়।
শিশুদের অপুষ্টি হ্রাস ও প্রাথমিক শিক্ষায় ইতিবাচক পরিবর্তনের লক্ষ্যে এই ফিডিং কর্মসূচিকে সময়োপযোগী ও কার্যকর পদক্ষেপ হিসেবে দেখছেন সংশ্লিষ্টরা।