দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরে আমদানি কমের অজুহাতে এক সপ্তাহের ব্যবধানে হিলি স্থলবন্দরের বাজারে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে পাইকারি বাজারে কেজিতে ১০ টাকা। প্রকার ভেদে ২০ টাকার পেঁয়াজ বর্তমানে ৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। হিলি বন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি কম হওয়ায় নিত্যপ্রয়োজনীয় এ পণ্যটির দাম বেড়েছে বলে দাবি ব্যবসায়ীদের।
বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) দুপুরে হিলি বন্দরের পেঁয়াজ বাজার ঘুরে দেখা যায়, দুর্গা পূজার বন্ধের সময়ও পেঁয়াজের দাম ছিলো ২০ টাকা কেজি। বন্ধ শেষে বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত থাকলেও এ পণ্যটির দাম প্রতি কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে গেছে। হঠাৎ দাম বাড়ায় বিপাকে পড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষসহ বিক্রেতারা।
হিলি বাজারে পেঁয়াজ কিনতে আসা রফিকুল ইসলাম বলেন, হিলি বন্দর দিয়ে দুর্গা পূজায় ৮ দিন বন্ধ ছিলো ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি। তবে সেই সময়ও বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম ছিলো ২০ থেকে ২২ টাকা। দুর্গা পূজার ছুটি শেষে বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত থাকলেও দাম বেড়েছে কেজিতে ৮ থেকে ১০ টাকা। তাই বাজারে পেঁয়াজ কিনতে এসে হিসেব মিলাতে পারছি না।
বাজারে সবজি কিনতে আসা আরাফাত হোসেন বলেন,বাজারে প্রায় সব জিনিসের দাম বেশি। আজ ৩০ টাকা দরে ৫ কেজি পেঁয়াজ নিলাম। কিন্তু গত এক সপ্তাহ আগেও ২০ টাকা দরে পেঁয়াজ কিনেছি।
হিলি বন্দর বাজারের পেঁয়াজের পাইকারি ব্যবসায়ী ফেরদৌস রহমান বলেন, আমদানিকারকরা বলছেন পেঁয়াজ আমদানি কমে গেছে। এছাড়াও বাংলাদেশের চেয়েও ভারতে পেঁয়াজের দাম বেশি। যার কারণে তারা বেশি দাম ধরছেন। তবে পেঁয়াজের আমদানি বৃদ্ধি পেলে কয়েক দিনের মধ্যে পেঁয়াজের দাম আগের মতো স্বাভাবিক হবে।
হিলি স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন-উর রশিদ হারুন বলেন, বাংলাদেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম কম, ভারতে দাম বেশি। অন্যদিকে ডলারের দাম বৃদ্ধির কারণে বেশি পরিমাণ পেঁয়াজ আমদানি করা যাচ্ছে না। তবে অল্প কিছু দিনের মধ্যে পেঁয়াজের আমদানি বৃদ্ধি পেলে বাজারে পেঁয়াজের দাম ২০ টাকার মধ্যেই আসবে বলে আশা করছি। এদিকে হিলি কাস্টমসের তথ্য মতে, গতকাল বুধবার ভারতীয় ২২ ট্রাকে ৮৮৭ মেট্রিকটন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।