আধিপত্য বিস্তার নিয়েই খুন হয় রকি, আসামীদের জবানবন্দি

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: বৃহঃস্পতিবার ১৫ই সেপ্টেম্বর ২০২২ ১২:১২ অপরাহ্ন
আধিপত্য বিস্তার নিয়েই খুন হয় রকি, আসামীদের জবানবন্দি

রাজবাড়ী সদর উপজেলায় খানখানাপুরে আরিফুল ইসলাম রকি (২৭) হত্যায় দুই আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। গত  সোমবার সন্ধ্যায় বিচারকের কাছে তাঁরা জবানবন্দি দিয়েছেন।গ্রেপ্তারকৃত দুইজন আসামীরা হলেন, খানখানাপুর ইউনিয়নের চরখানখানাপুর গ্রামের মো. নজরুল ইসলামের ছেলে সৌরভ আহমেদ শাওন (২০) ও কুষ্টিয়া সদর উপজেলার দহকুলা গ্রামের মজিবর রহমান এর ছেলে ইয়ামিন আলী (২২)।


পুলিশ অভিযান চালিয়ে মামলার সাথে জড়িত দুই যুবককে গ্রেপ্তার করে। এসময় তাদের কাছ থেকে হত্যায় ব্যবহত ২ টি বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্রে, ৫টি খালি কার্তুজ ও ১ টি রাবারের মুখোশ উদ্ধার করা হয়।গত সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজবাড়ী পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিং এ সাংবাদিকদের কাছে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার এম এম শাকিলুজ্জামান।


রাজবাড়ী জেলা পুলিশ সুপার এম এম শাকিলুজ্জামান জবানবন্দির বরাত দিয়ে বলেন,  এলাকায় আধিপত্য বিস্তারসহ স্থানীয় কিছু বিষয় নিয়ে দুই পক্ষের বিরোধ চলে আসছিলো।  প্রতিপক্ষের হামলায় মো. রাকিব শেখ নামের এক যুবকের হাতের কবজি বিচ্ছিন্ন হয়েছিল। এ ঘটনায় করা মামলায় আরিফুল ইসলাম রকি কারাগারে ছিলেন। কয়েক দিন আগে তিনি কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পান। প্রতিপক্ষ প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য অপেক্ষায় ছিল। গ্রেপ্তার হওয়া ইয়ামিন চরখানখানাপুরে স্থানীয় একটি ইটভাটায়শ্রমিকের কাজ করেন। রাকিবের সহযোগীরা সেখানে আড্ডা দেন। এতে তাঁদের মধ্যে সখ্য রয়েছে।


স্থানীয় বাসিন্দা নাহলেও ইয়ামিন আলী এই হত্যাকাণ্ডে জড়িয়ে যান। গত শনিবার সন্ধ্যায় খানখানাপুর সুরাজ মোহনী ইনস্টিটিউট স্কুলের সামনে একটি কফিশপে রকি ও তাঁর বন্ধুরা মিলে কফি খাচ্ছিলেন। হঠাৎ সেখানে কয়েকজন দুর্বৃত্তরা এসে তাকে গুলি করে। তাকে উদ্ধার করে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন। পরদিন রবিবার রাতে নিহতের বাবা আব্দুর রাজ্জাক শেখ বাদী হয়ে ১৬ জনের নাম উল্লেখ করে রাজবাড়ী সদর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।


মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রাজবাড়ী সদর থানার এসআই মোহাম্মদ আতিয়ার রহমান বলেন,দুইজন আসামির জবানবন্দি গ্রহণ করেছেন বিচারক। তাঁরা দুইজন হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। এ ঘটনায় বাকি আসামীদের গ্রেপ্তারের চেস্টা অব্যহত রয়েছে।