মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পরমাণু চুক্তি নিয়ে আলোচনায় বসার আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেছে ইরান। ইসলামী বিপ্লবের নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি জানিয়েছেন, ‘গুন্ডামি’ করে বেড়ানো শক্তিগুলোর আলোচনার আহ্বানটি কোনো সমস্যার সমাধানে নয়, বরং ইরানের ওপর তাদের প্রত্যাশা চাপিয়ে দেওয়ার প্রচেষ্টা। তিনি আরো বলেন, ইরান কোনো ধরনের চাপ মেনে নেবে না।
ট্রাম্প শুক্রবার (৭ মার্চ) দাবি করেন, তিনি ইরানের শীর্ষ নেতাদের কাছে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন, যেখানে তিনি দুটি পথের কথা উল্লেখ করেছেন, একটি হচ্ছে সামরিক আক্রমণ, অন্যটি হলো চুক্তি করা। তিনি বলেন, ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্রধর হওয়ার পথ থেকে থামানোর জন্য তাকে চুক্তির মাধ্যমে সমঝোতা করতে হবে।
তবে ট্রাম্পের এমন মন্তব্যের একদিন পর ৮ মার্চ, শীর্ষ সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক বৈঠকে আয়াতুল্লাহ খামেনি স্পষ্টভাবে জানান, পশ্চিমা শক্তিগুলো কখনোই শুধু পরমাণু ইস্যু নিয়ে আলোচনা করতে চায় না। তাদের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে, ইরানের প্রতিরক্ষা ক্ষমতা এবং আন্তর্জাতিক অবস্থান সম্পর্কে নতুন প্রত্যাশা আরোপ করা, যা ইরান মেনে নেবে না। তিনি বলেন, তাদের আসল উদ্দেশ্য হলো আধিপত্য বিস্তার করা এবং চাপিয়ে দেওয়া।
২০১৭ থেকে ২০২১ পর্যন্ত ট্রাম্প যখন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ছিলেন, তিনি একতরফাভাবে যুক্তরাষ্ট্রকে ইরান পরমাণু চুক্তি থেকে বের করে নেন। এরপর ইরানের পরমাণু কর্মসূচির বিরুদ্ধে নানা বিধিনিষেধ আরোপ করেন। ট্রাম্প তার প্রথম মেয়াদে ‘সর্বোচ্চ চাপ’ প্রয়োগের নীতি অব্যাহত রাখেন এবং দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় এসে এই নীতিকে আরো জোরদার করেন।
খামেনি ইউরোপীয় দেশগুলোরও সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেন, "আপনি বলছেন, ইরান তার পরমাণু প্রতিশ্রুতি পূরণ করেনি। তবে আপনি কি আপনার প্রতিশ্রুতি পালন করেছেন?" ২০১৮ সালে ট্রাম্প চুক্তি থেকে বের হওয়ার পর ইউরোপীয় দেশগুলো - ব্রিটেন, ফ্রান্স ও জার্মানি ইরানকে চুক্তির শর্তগুলো মানতে এবং অর্থনৈতিক ক্ষতিপূরণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কিন্তু ইউরোপীয়রা সেই প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছে। ইরান তবুও এক বছর ধরে চুক্তির শর্তগুলো মেনে চলেছিল।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।