নোবিপ্রবিতে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের এবারও 'থাকা-খাওয়া'র উদ্যোগ পৌর মেয়রের

নিজস্ব প্রতিবেদক
সাখাওয়াত জামিল সৈকত (অতিথি লেখক)
প্রকাশিত: শুক্রবার ২৯শে জুলাই ২০২২ ০৪:৪০ অপরাহ্ন
নোবিপ্রবিতে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের এবারও 'থাকা-খাওয়া'র উদ্যোগ পৌর মেয়রের

বিগত কয়েক বছরের ধারাবাহিকতায় এবারও নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) ভর্তি পরীক্ষা দিতে আসা পরীক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের বিনামূল্যে থাকা-খাওয়ার উদ্যোগ নিয়েছেন নোয়াখালী পৌরসভার মেয়র সহিদ উল্যাহ্ খান সোহেল৷ 


আগামী ৩০ জুলাই সারাদেশে ২২টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ক ইউনিটের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে৷ 


১৩ আগস্ট ‘খ’ ইউনিট এবং ২০ আগস্ট (সম্ভাব্য তারিখ) ‘গ’ ইউনিটের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। 


নোবিপ্রবিতে ভর্তি পরীক্ষার কেন্দ্রে যেসব শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিবেন, তারা এ সুবিধা পাবেন বলে জানান আয়োজকরা৷  


অতীততে এ উদ্যোগটি নিয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের প্রশংসা পেয়েছেন আয়োজকরা৷ 


উদ্যোগটি বাস্তবায়নে নোয়াখালীর সাধারণ মানুষও স্বত:স্ফূর্তভাবে সহযোগিতা করে আসছে বলেন জানান মেয়র৷ 


ইতোমধ্যে মেয়রের নির্দেশনায় জেলা শহর থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে স্থাপন করা হয়েছে সহায়তা বুথ। ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা করতে প্রস্তুত রয়েছেন স্বেচ্ছাসেবকরাও৷ 


সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, জেলা শহর মাইজদী থেকে সোনাপুর ও ক্যাম্পাস এলাকায় স্থাপন করা হয়েছে সহায়তা বুথ। সেখানে একই কালারে টি-শার্ট পরে সেবা দিবেন দায়িত্বরত ভলান্টিয়াররা৷ 


শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের থাকার জন্য পৌরসভার ভবনটিকে পুরোপুরি ভাবে প্রস্তুত করা হয়েছে বলে জানা গেছে৷ 


পরীক্ষার আগের দিন থেকে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা নোয়াখালীতে আগমন করে৷ অপরিচিত জায়গা এবং থাকা-খাওয়ার ভোগান্তি তাদের সম্মুখীন হতে হতো৷ কিন্তু এ উদ্যোগ নেওয়ার পর ভোগান্তি দূর হয়েছে বলে জানান শিক্ষার্থীরা৷ 


নোয়াখালী শহর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়টির অবস্থান দূরে হওয়ায় সেখানে ভালো মানের রেস্টুরেন্ট এবং থাকার কোনো আবাসিক হোটেল তেমন নেয়৷ সর্বমহলে এ উদ্যোগটির প্রশংসা পেয়েছে আয়োজকরা৷ 


জানতে চাইলে এ উদ্যোগের প্রধান পরিকল্পনাকারী নোয়াখালী পৌরসভার মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-আহবায়ক সহিদ উল্যাহ্ খান সোহেল বলেন, "প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার সময় বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা নোয়াখালীতে আসেন৷ গত ছয় বছর ধরে আমি তাদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থায় এ উদ্যোগ গ্রহণ করে আসছি৷ 


তিনি বলেন, প্রথমে আমি দেখলাম, যে পরিমাণ শিক্ষার্থী অভিভাবকসহ পরীক্ষা দিতে নোয়াখালীতে আসে, সে তুলনায় আবাসন ব্যবস্থা ব্যবস্থা এখানে নেই৷ অসুবিধার কথা চিন্তা করে শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের থাকা,খাওয়া, চিকিৎসা এবং পরিবহণ সুবিধার ব্যবস্থা নিশ্চিত করে আসছি৷ 


এ বিষয়ে নোয়াখালীর সাধারণ জনগণও আমাকে স্বত:স্ফূর্তভাবে সহযোগিতা করেছে৷ এ ধারাবাহিকতা গত কয়েক বছরধরে আমি রক্ষা করে আসছি৷ এবারও আমি অতীতের ধারাবাহিকতায় উদ্যোগ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি৷ পরীক্ষার্থীদের জন্য শুভ কামনা থাকলো৷"