চেন্নাই টেস্টের দ্বিতীয় দিন: ব্যাটিং বিপর্যয়ে বাংলাদেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক
স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার ২০শে সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১২:৪১ অপরাহ্ন
চেন্নাই টেস্টের দ্বিতীয় দিন: ব্যাটিং বিপর্যয়ে বাংলাদেশ

চেন্নাই টেস্টের দ্বিতীয় দিনে বাংলাদেশ দল এক বিপর্যস্ত ব্যাটিং পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছে। ভারতের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের এই ম্যাচে দিনের প্রথম ঘণ্টায় বাংলাদেশের বোলাররা কিছুটা সাফল্য পেলেও, ব্যাটিংয়ে সেই ছন্দ ধরে রাখতে পারেনি। দিনের শুরুতে ভারতের দুই অলরাউন্ডার রবিচন্দ্রন অশ্বিন ও রবীন্দ্র জাদেজার ১৯৯ রানের জুটি ভেঙে দেয় বাংলাদেশি পেসার তাসকিন আহমেদ। অশ্বিন ও জাদেজার গতদিনের দাপুটে ব্যাটিংয়ের পর ভারত আরও বড় স্কোর গড়ার লক্ষ্য নিয়ে মাঠে নামে, কিন্তু তাসকিন ও হাসান মাহমুদের দুর্দান্ত বোলিং আক্রমণে তা আর সম্ভব হয়নি। আগের দিনের ৩৩৯ রান থেকে মাত্র ৩৭ রান যোগ করতেই ভারত ৩৭৬ রানে অলআউট হয়ে যায়। 


তাসকিন আহমেদ এদিন অসাধারণ বলিং করেছেন। তিনি অশ্বিনের উইকেট তুলে নিয়ে প্রথম ব্রেকথ্রু দেন। এরপর ভারতীয় ব্যাটিং লাইনআপের বাকি অংশকে বেশ দ্রুত সামলে নেওয়া হয়। হাসান মাহমুদ ও মেহেদি হাসান মিরাজও সঙ্গ দিয়ে বাকিদের আউট করেন। তাসকিন ৩ উইকেট এবং হাসান মাহমুদ ও মেহেদী মিরাজ যথাক্রমে ২টি করে উইকেট দখল করেন। ফলে, ভারত তাদের প্রথম ইনিংসে ৩৭৬ রানে থামে, যা বাংলাদেশের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়।


কিন্তু জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে বাংলাদেশ নিজেদের ইনিংসের শুরুতেই একের পর এক উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে। ভারতের ফাস্ট বোলার যশপ্রীত বুমরাহ শুরুতেই বাংলাদেশের ওপেনার সাদমান ইসলামকে (৬ বলে ২ রান) বোল্ড করে সফরকারীদের ওপর চাপ সৃষ্টি করেন। সাদমানের বিদায়ের পর অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ও জাকির হাসান কিছুটা ধৈর্য্য ধরে খেলার চেষ্টা করেন, কিন্তু আকাশ দীপের অসাধারণ বোলিংয়ে বাংলাদেশ দ্বিতীয় উইকেটও দ্রুত হারায়। জাকির হাসান (২২ বলে ৩ রান) বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন।


দলীয় ২২ রানের মাথায় আরও একটি বড় ধাক্কা আসে যখন মুমিনুল হক প্রথম বলেই গোল্ডেন ডাক নিয়ে আউট হন। দুই ওপেনারের মতোই বোল্ড হয়ে ফিরে যান তিনি, ফলে মাত্র ২৬ রানেই ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে বাংলাদেশ দল। 


তবে মাত্র ৪০ রানে ৫ উইকেট হারানোর পর দলটি ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে। সাকিব আল হাসান ও লিটন দাসের জুটি কিছুটা আশা জাগায়, তবে দলীয় শত রানের আগেই দুজনই আউট হয়ে যান। ফলে ৯২ রানে সপ্তম উইকেটের পতন ঘটে, এবং বাংলাদেশের ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন থমকে যায়।