দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি স্বাভাবিক থাকায় স্হানীয় বাজারে কমে গেছে পেঁয়াজের দাম। প্রকার ভেদে ২৪ টাকার ভারতীয় পেঁয়াজ পাইকারি বাজারে বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা কেজি দরে। কমতে শুরু করেছে দেশি পেঁয়াজেরও দামও।
রবিবার (২৪ জুলাই) সাপ্তাহিক হাট বারের দিন সকালে হিলি বন্দর বাজার ঘুরে দেখা যায়, বন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি স্বাভাবিক থাকায় মাত্র তিন-চার দিনের ব্যবধানে ভারতীয় পেঁয়াজের দাম কমেছে কেজিতে ৪ টাকা। তিন-চার দিন আগে যে পেঁয়াজ ২৪ টাকা পাইকারি ছিলো, আবার খুচরা বিক্রি হয়েছিলো ২৮ থেকে ৩০ টাকা কেজি দরে। আজ তা পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা কেজি। আর খুচরা বিক্রি হচ্ছে ২৪ থেকে ২৫ টাকা কেজি দরে।
এদিকে ৪০ টাকা কেজি দরের দেশি পেঁয়াজ পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ৩৫ টাকা কেজি দরে। পেঁয়াজের দাম কমে যাওয়ায় স্বস্তি পাচ্ছেন ব্যবসায়ী ও সাধারণ ক্রেতারা।বাজারে পেঁয়াজ কিনতে আসা রফিকুল ইসলাম বলেন, কোরবানির ঈদের আগেও বাজারে পেঁয়াজের দাম অনেকটা কম ছিলো! তাই বেশি করে নিয়েছিলাম। বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজ এর সরবরাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় এখন বাজারে দেখছি পেঁয়াজের দাম আরও কম। আজ ২০ টাকা দরে ৫ কেজি পেঁয়াজ কিনলাম।
হিলি বাজারে পেঁয়াজের পাইকারি ব্যবসায়ী ফেরদৌস রহমান বলেন, ভারত থেকে পেঁয়াজের আমদানির সরকারি অনুমতি (আইপি) মেয়াদ শেষ হওয়ায় কিছু দিন বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ ছিলো। তখন পেঁয়াজ বাজার বৃদ্ধি পেয়েছিলো। পরবর্তীতে সরকার আবারও ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেওয়ার কারণে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি স্বাভাবিক আছে। যার কারণে পেঁয়াজের বাজার আগের মতো স্বাভাবিক হয়ে গেছে। আমরা পাইকারি ২০ টাকা কেজি বিক্রি করছি। আবার দেশি পেঁয়াজের দামও কমে যাচ্ছে, ৩৫ টাকা কেজি পাইকারি দিচ্ছি।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।