বিশিষ্ট সাংবাদিক ও ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো’ গানের রচয়িতা আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীর মরদেহ লন্ডন থেকে শনিবার (২৮ মে) ঢাকায় পৌঁছাবে। বুধবার (২৫ মে) লন্ডনের বাংলাদেশ হাইকমিশন এক বার্তায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
সম্পূর্ণ রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনায় তার মরদেহ দেশে আনা হচ্ছে। এর আগে স্থানীয় সময় গত শুক্রবার (২০ মে) ব্রিকলেন মসজিদে জুমার নামাজের পর তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সব আনুষ্ঠানিকতা শেষে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীর মরদেহ দেশে ফিরবে। পরে শ্রদ্ধা জানানোর জন্য নেওয়া হবে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে।
গাফ্ফার চৌধুরীর শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী, মিরপুরের শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে তার স্ত্রীর পাশে সমাহিত করার কথা রয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার (১৯ মে) স্থানীয় সময় ভোরে লন্ডনের একটি হাসপাতালে মারা যান বরেণ্য এই সাংবাদিক। তিনি ভাষা আন্দোলনের স্মরণীয় গান ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি’র রচয়িতা। তার বয়স হয়েছিল ৮৮ বছর।
যুক্তরাজ্যপ্রবাসী স্বনামধন্য এই সাংবাদিক স্বাধীনতাযুদ্ধে মুজিবনগর সরকারের মাধ্যমে নিবন্ধিত স্বাধীন বাংলার প্রথম পত্রিকা সাপ্তাহিক ‘জয় বাংলা’র প্রতিষ্ঠাতা নির্বাহী সম্পাদক ছিলেন।
আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী ১৯৩৪ সালের ১২ ডিসেম্বর ব্রিটিশ শাসনামলে তৎকালীন অবিভক্ত ভারতের বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জের উলানিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। পেশাগত কারণে জনপ্রিয় এই সাংবাদিক ও কলামিস্ট বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ ছিলেন।
যুক্তরাজ্যে আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী ‘নতুন দিন’ নামে একটি সংবাদপত্র চালু করেন। পেশাদার সাংবাদিক হিসেবে তিনি সাংবাদিকতা জীবনে ‘ডানপিটে শওকত’, ‘চন্দ্রদ্বীপের উপাখ্যান’, ‘নাম না জানা ভোরে’, ‘নীল যমুনা’, ‘শেষ রজনীর চাঁদ’ ও ‘পলাশী থেকে ধানমন্ডি’র মতো ৩৫টি গ্রন্থ রচনা করেছেন।
তিনি বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ড নিয়ে ‘পলাশী থেকে ধানমন্ডি’ নামের একটি ফিল্মও প্রযোজনা করেন।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।