পিপলস লিজিং থেকে ৬ হাজার বিনিয়োগকারীর ৭৫০ কোটি টাকা আত্মসাত করেছিলেন পি কে হালদার (প্রশান্ত কুমার) ও তার সহযোগীরা।
রোববার (২২ মে) দুপুরে আমানতের টাকা ফেরত পেতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেছেন ভুক্তভোগীরা। পি কে হালদারকে দেশে ফেরত এনে বিচারের মুখোমুখি করার দাবিও জানান তারা।
দেশ থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচারকারী পি কে হালদার ভারতে গ্রেফতার হলেও এখনও তাকে দেশে ফেরত আনা হয়নি। পিপলস লিজিংয়ের ৬ হাজার বিনিয়োগকারী ফেরত পাননি তাদের আমানতের ৭৫০ কোটি টাকা। কবে ফেরত পাবেন তার নিশ্চয়তাও দিচ্ছে না কেউই। সবর্স্ব হারানো মানুষগুলো রোববার নিজেদের টাকা ফেরত পেতে আবারও রাজপথে নামেন। তাদেরই একজন সামোরিন হাসান। পাওনা টাকা ফেরত পেতে বারবার ধরনা দিয়েছেন পিপলস লিজিংয়ের গুলশান কার্যালয়ে।
জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধনে এদিন অংশ নেন পিকে হালদার ও তার সহযোগীদের প্রতারণার শিকার ৭০ বছর বয়সী আসমা হকসহ প্রবীণ বিনিয়োগকারীরা। যারা সারা জীবনের সঞ্চিত অর্থ হারিয়ে অসহায় হয়ে আজ রাস্তায় নামতে বাধ্য হয়েছেন।
ভুক্তভোগীদের একটাই দাবি, পি কে হালদারকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচার আর তাদের পাওনা টাকা ফেরত পাওয়া।
এদিকে, পি কে’কে দেশে ফিরিয়ে এনে তার মামলার নিষ্পত্তির মাধ্যমে ভুক্তভোগীদের পাওনা অর্থ ফেরত দেয়ার একমাত্র উপায় বলে জানান দুদক আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
যত দ্রুত সম্ভব পি কে হালদারকে দেশে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে বলেও জানান দুদক আইনজীবী।
এর আগে গত শনিবার (১৪ মে) ভারত সরকারের তদন্ত সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) বাংলাদেশের আর্থিক খাতের শীর্ষ জালিয়াত প্রশান্ত কুমার হালদার ওরফে পি কে হালদারকে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ থেকে গ্রেফতার করে।
এদিকে, পি কে হালদারসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে নতুন আরেকটি মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বৃহস্পতিবার (১৯ মে) সকালে দুদকের সহকারী পরিচালক রাকিবুল হায়াত বাদী হয়ে ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ মামলাটি দায়ের করেন।
মামলায় তাদের বিরুদ্ধে এফএএস (ফাস) ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের ৪৪ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগ আনা হয়েছে। কাগুজে প্রতিষ্ঠান দিয়া শিপিং লিমিটেডের নামে এ টাকা ঋণ দেয়া হয়েছিল।
মামলার আসামিরা হলেন- এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক ও রিলায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেডের সাবেক এমডি ও পলাতক আসামি প্রশান্ত কুমার হালদার, দিয়া শিপিং লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক শিব প্রসাদ ব্যানার্জি, পরিচালক পাপিয়া ব্যানার্জি, এফএএস ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্টের চেয়ারম্যান এম এ হাফিজ, সাবেক চেয়ারম্যান মো. সিদ্দিকুর রহমান ও ভাইস চেয়ারম্যান মো. জাহাঙ্গীর আলম, পরিচালক অরুণ কুমার কুণ্ডু, অঞ্জন কুমার রায়, মো. মোস্তাইন বিল্লাহ, উজ্জল কুমার নন্দী, সত্য গোপাল পোদ্দার ও এফএএস ফাইন্যান্সের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রাসেল শাহরিয়ার।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।