লালপুরে থামছেনা পুকুর খনন, কমছে কৃষি জমি

নিজস্ব প্রতিবেদক
মোঃ আশিকুর রহমান টুটুল, জেলা প্রতিনিধি, নাটোর
প্রকাশিত: বুধবার ২৭শে এপ্রিল ২০২২ ০৮:২৮ অপরাহ্ন
লালপুরে থামছেনা পুকুর খনন, কমছে কৃষি জমি

আদালতের নির্দেশনা উপেক্ষা করে নাটোরের লালপুর উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের ফসলি জমিতে এক্সেবেটর (ভেকু) দিয়ে দিনরাত অবাধে পুকুর খনন চলছে। এতে গত ২ বছরে কৃষি জমির পরিমান কমছে প্রায় ৬০ হেক্টর। বেড়েছে মৎস্য চাষ। পুকুর খনন বন্ধ না হলে স্থায়ী জলাবদ্ধতাসহ কৃষি জমির ব্যাপক ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। 


পুকুর কাটার কারণে কৃষি জমি কমে যাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেন উপজেলা কৃষি অফিসার রফিকুল ইসলাম। এদিকে লালপুর উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী গত দুই বছরে লালপুর উপজেলায় মৎস্য চাষ বেড়েছে ৬০ হেক্টর জমিতে। 


সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় উপজেলার বিষম্ভর পুর, দিয়াড়পাড়া, বসন্তপুর বিল, কদিমচিলান, সেকচিলান ও দুয়ারিয়া মাঠে ফসলি জমিতে চলছে পুকুর খনন। 

স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, চলতি মৌসুমে উপজেলা জুড়ে ফসলি জমিতে নতুন করে প্রায় ৩০টি পুকুর খনন করা হয়েছে। নাটোর জেলায় কৃষি জমিতে পুকুর খনন বন্ধ করতে গত ১৯ সালে (১২ মে) হাইকোর্টে একটি রিট শুনানি শেষে জেলার ৫টি উপজেলার অভ্যন্তরে কৃষি জমিতে অবৈধ পুকুর খনন বন্ধে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।


পুকুর খনন কারীরা বলছেন, তারা প্রশাসন সহ সব মহলকে ম্যানেজ করেই পুকুর খনন করছেন। মাটিবাহি ট্রাক্টরের মোটা ও ভারী চাকায় নষ্ট হচ্ছে গ্রামীণ সড়ক। ফলে মাঝে মধ্যেই ঘটছে দুর্ঘটনা। উপজেলা প্রশাসন পুুকুর খনন বন্ধে দুই একটি অভিযান চালালেও তা কোন কাজে আসছে না। ভ্রম্যমাণ আদালত এলাকা থেকে চলে আসার পর পরই শুরু হয় পুকুর খনন। 


এদিকে ফসলি জমিতে অবৈধ ভাবে পুকুর খনন বন্ধের দাবিতে লিখিত অভিযোগ ও গত ২৪ মার্চ বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে উপজেলা পরিষদ চত্বরে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে এলাকাবাসী।’


নাম প্রাকাশ না করার শর্তে এক্সেবেটর চালক ও পুকুর খননকারীরা বলেন, ‘পুকুর খননের জন্য কৃষকদের সঙ্গে চুক্তি করেই সকলকে ম্যানেজ করেই পুকুর খনন করছেন তারা। আর এই সব মাটি প্রতি গাড়ি সর্বনি¤œ ৫শ থেকে ৮শ টাকায় বিক্রয় করছেন।’


লালপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শামীমা সুলতানা বলেন, পুকুর কাটা বন্ধে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনা স্থলে গিয়ে পুকুর খননকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’