৫০ হাজার টাকায় বিক্রি হওয়া নবজাতক অবশেষে মায়ের কোলে ফিরে গেল। চাঁদপুরে মতলব উত্তর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গাজী শরীফুল হাসান বৃহস্পতিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) রাত ১০টায় উপজেলার ষাটনল গ্রাম থেকে উদ্ধার করে ছেঙ্গারচর পৌরসভার বাড়িতে গিয়ে সেই নবজাতককে তার মায়ের কোলে তুলে দেন।
এর আগে হাসপাতালের বিল পরিশোধ করতে গিয়ে নবজাতককে এক দম্পতির কাছে অর্থের বিনিময়ে দত্তক দেন মা তামান্না বেগম। এমন ঘটনা পৌঁছে যায় উপজেলা প্রশাসনের কাছে। পরে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে নির্বাহী কর্মকর্তা গাজী শরীফুল হাসানের সহায়তায় উপজেলার ষাটনল গ্রাম থেকে নবজাতককে উদ্ধার করা হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এর আগে প্রবাসী দম্পতির কাছে পারস্পরিক সম্পর্কের ভিত্তিতে এই নবজাতক আদান-প্রদান করা হয়েছিল। ষাটনল এলাকার প্রবাসীর স্ত্রী সীমলা আক্তার শিশুটিকে ক্রয় করেছিল। তার ৩ মেয়ে রয়েছে। তিনি এই নবজাতক ছেলে শিশুটিকে লালনপালন করার জন্য নিয়েছিলেন।
মতলব উত্তর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গাজী শরিফুল হাসান বলেন, নবজাতকের মা এবং নানী স্বীকার করেছেন, মূলত আর্থিক সমস্যার কারণে প্রবাসীর স্ত্রীর কাছে বিক্রি করে দেয়। পরবর্তীতে আমরা বিষয়টি জানতে পারি এবং রাতে ষাটনল এলাকা থেকে নবজাতককে উদ্ধার করে মায়ের কাছে ফিরিয়ে দিয়েছি।
উল্লেখ্য, দুই সন্তানের মা তামান্না গত ২৬ জানুয়ারি প্রসব বেদনা নিয়ে ভর্তি হয় মতলব উত্তর উপজেলার পালস-এইড জেনারেল হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার নামের একটি বেসরকারি হাসপাতালে। এরপর সিজারের মাধ্যমে জন্ম হয় ফুটফুটে এক ছেলে সন্তান। হাসপাতাল ও ওষুধ খরচের ব্যয় বহন করতে না পেরে ৫০ হাজার টাকায় বাধ্য হয়ে নাড়ি ছেড়া ধন বিক্রি করেন স্থানীয় এক নিঃসন্তান দম্পত্তির কাছে।
তামান্না ছেংগারচর পৌরসভার বারোআনি গ্রামের বাসিন্দা। পাঁচ বছর আগে তামান্না পার্শ্ববর্তী হানিরপাড় গ্রামের তৈয়ব আলীর ছেলে দিনমজুর আলমের সঙ্গে বিয়ে হয় তার।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।