রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দে সম্প্রতি উদ্ধার হওয়া ৪টি গরুর যত্ন ও লালন-পালন করছে গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশ। মালিকবিহীন গরুগুলোকে লালন-পালনের পাশাপাশি প্রকৃত মালিকের খোঁজে বিভিন্ন স্থানে বার্তা পাঠিয়েছি পুলিশ। গত ৪দিন ধরে গরুগুলো থানায় রয়েছে।
থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত বুধবার (১ডিসেম্বর) রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া চর কর্ণেশনা কলাবাগান এলাকা থেকে ৪টি গরুসহ ওই এলাকার মৃত সালাম শেখের দুই ছেলে জামাল শেখ (৩০) ও হারুন শেখকে গ্রেপ্তার করে গরু চুরির অভিযোগে ওই দিন গ্রেপ্তারকৃত দুই ব্যক্তিকে আদালতে প্রেরণ করে পুলিশ। গরুর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত ও চোর চক্রের মূল হোতা একই এলাকার গাজি কসাই ও চুন্নু কসাইকে খুঁজতে আটককৃত দুই ব্যক্তিতে সাত দিনের পুলিশ রিমান্ড চাওয়া হবে বলে জানায় পুলিশ।
সরেজমিন শনিবার সকালে গোয়ালন্দ ঘাট থানা প্রাঙ্গনে গিয়ে দেখা যায়, পুলিশ কনস্টেবল নুরুজ্জামান মিয়া পুলিশের গ্যারেজ থেকে গরুগুলো বাইরে আনছে। অন্যদিকে গরুর খাবার প্রস্তুত করছে পুলিশের আরেক সদস্য রকিবুল ইসলাম। খোলা আকাশের নিচে গরুগুলো ক্ষতি হবে বলে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল্লাহ আল তায়েবীরের নির্দেশনায় গরুগুলোকে গাড়ী রাখার গ্যারেজে রাখা হয়। থানার প্রাঙ্গনে দিনের বেলায় খোলা আকাশের নিচে খড়, ভূষি খাওয়াচ্ছে পুলিশের সদস্যরা।
থানায় সাধারণ ডায়েরী করতে আসা মো. মতিয়ার শিকদার বলেন, চারটি গরুর মধ্যে কালো রংয়ের গুরুটি দুধ দেয়া গাভী। অন্য দুটি আইড়া বাছুর একটি বকনা বাছুর। তিনি বলেন পুলিশ সদস্যরা গুরুগুলোর জন্য যা করছে সেটা প্রশংসার দাবি রাখে। গরুগুলোকে পরম যত্নে লালন-পালন করছে পুলিশ সদস্যরা।
গুরুর লালন-পালন করা পুলিশ সদস্য মো. নুরুজ্জামান বলেন, গ্রাম থেকে উঠে এসে পুলিশের চাকুরী শুরু করেছি। গত চারদিন ধরে স্যারের নির্দেশে গুরুগুলোকে লালন- পালন করছি। পুলিশি সেবার বাইরে গরুগুলো লালন-পালন করতে সত্যি ভালো লাগছে।
গোয়ালন্দ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ্ আল তায়াবীর বলেন, আমরা গরুর প্রকৃত মালিকের কাছে হস্তান্তর করতে চাই। সেই তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। যেহেতু গরুগুলো জব্দ করা রয়েছে। সেক্ষেত্রে বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশনা ছাড়া আমরা কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারছি না। রবিবার বিজ্ঞ আদালতে গুরুর ব্যাপারে নির্দেশনা চাওয়ার পাশাপাশি চোরদের সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন জানানো হবে।রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার এমএম শাকিলুজ্জামান বলেন, গরুগুলোকে সুস্থ্য ও স্বাভাবিকভাবে প্রকৃত মালিকের কাছে ফিরে দেওয়ার লক্ষ্যে পুলিশ কাজ করছে। গরুগুলো উদ্ধারের মাধ্যমে পুলিশ যে জনগণের অতন্দ্র প্রহরী সেটি প্রমাণ করছে।
মোবাঃ ০১৭২১৭৮৪২৯১
তাংঃ ৪/১২/২০২১ইং
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।