প্রকাশ: ১৭ জুলাই ২০২০, ১৫:৩৭
এটি কোরআনের দ্বিতীয় সুরার ২৫৫ নং আয়াত। এ আয়াতে আল্লাহ তার ক্ষমতা কতৃত্ব শ্রেষ্টত্ব ও মহাত্ব বর্ননা করেছেন। বিশ্বাস ভক্তি ও সমর্পিত অন্তরে এ আয়াত পাঠ করলে পাঠকারীর সীমাহীন ফজিলত সম্পর্কে হাদীছ শরীফে বলা হয়েছে। আর তা এ জন্য যে ইহা পাঠের সময় আল্লাহর চরম ক্ষমতা প্রভুত্ব প্রতাপ প্রতিপত্তির পরিচয় পেয়ে পাঠকের মনে চরম নিরাপত্তার নিশ্চয়তা আশা ও ভরসা অনুভুত হয়। তাই অনুবাদ সহ ইহা পাঠ করা উচিৎ যেন তা বুঝতে পারা যায়।
দয়া পরবশ হয়ে আবু হোরায়রা ( রাঃ) তাকে ছেড়ে দিলেন। পরদিন রসুল (সঃ) এর নিকট আবু হোরায়রা ( রাঃ) গেলে রসুল (সঃ) তাকে জিজ্ঞাসা করলেন,তোমার অপরাধী কি করেছে? আবু হোরায়রা চোরকে ক্ষমা করার কথা বললেন। রসুল ( সঃ) বললেন, সে তোমাকে মিথ্যা বলেছে, আর সে আবার আসবে। ঠিকই পরের রাতে আগুন্তক আবার চুরি করতে এসে ধৃত হলো।
এবং তাকে রসুল (সঃ) এর দরবারে নিতে চাইলে গত রাতের মত কাকুতি মিনতি করে তার অভাবের কথা জানালো এবং শপথ করলো যে সে আর আসবে না। পরদিন রসুল (সঃ) জিজ্ঞাসা করলে চোরের শপথ করার কথা জানালেন। রসুল পাক বললেন সে মিথ্যা বলেছে আর সে আবার আসবে। পরের রাতেও চোর আবার আসে এবং ধৃত হয়। আজ আর কোন ক্ষমা নয় আজ তাকে রসুল পাক (সঃ) এর দরবারে নিয়ে চাইলেন।
অবস্হা বেগতিক দেখে আগুন্তক বলল আমাকে মাফ কর আমি তোমাকে এমন কিছু বলে দিব যার মাধ্যমে আল্লাহ তোমাকে কল্যান দান করবেন। আবু হোরায়রা ( রাঃ) তা কি জানতে চাইলে চোর তাকে রাত্রে শয়নকাল আয়াতুল কুরসী পাঠ করে ঘুমাতে বলল। তাহলে আল্লাহ তোমারর জন্য একজন পাহারাদার নিযুক্ত করেদিবেন যে সকাল পর্যন্ত তোমার পাহারায় থাকবে যাতে কোন শয়তান তোমার কাছে আসতে না পারে। এসব শুনে আবু হোরায়রা (রাঃ) চোরকে ছেড়ে দিলেন।
পরদিন রসুল (সঃ) এর কাছে গেলে রসুল পাক (সঃ) আবু হোরায়রার নিকট চোরের কথা জানতে চাইলে তাকে রাতের ঘটনা জানিয়ে দিলেন। সব শুনে রসুল (সঃ) বললেন যদিও সে চরম মিথ্যাবাদী কিন্ত সে সত্য বলেছে। রসুল (সঃ) আবু হোররায়রা ( রাঃ) কে জিজ্ঞসা করলেন তুমি কি জান সে কে? আবু হোরায়রা ( রাঃ) বললেন না। রসুল (সঃ) আবু হোরায়রা (রাঃ) কে বললেন, সে হচ্ছে শয়তান। ( সহি বুখারী নং- ২৩১১)