ঈদ এলেই খুশির জোয়ার আনে নতুন পোশাক। আর এই নতুন পোশাক বানানোর জন্য দর্জিদের উপর চাপ বাড়ে। রমজান মাসের শুরু থেকেই দর্জি দোকানগুলোতে তুমুল ব্যস্ততা দেখা যায়। ঈদকে সামনে রেখে সরাইল উপজেলার বিভিন্ন দর্জি দোকানগুলোতে এখন দিনরাত কাজ করছেন কারিগররা। সকাল থেকে সন্ধ্যা, আবার রাতে সেলাই মেশিনের খটখট শব্দে মুখরিত হয়ে উঠছে এসব দোকান। নতুন পোশাক বানাতে মানুষ ভিড় করছেন দর্জি ঘরগুলোতে। বিশেষ করে, পাঞ্জাবি, থ্রিপিস, শার্ট, প্যান্ট, লেহেঙ্গা, স্কার্ট ইত্যাদি তৈরি করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন দর্জিরা।
উপজেলার উচালিয়া পাড়া মোড়ে শপার্স গ্যালারিতে ফখরে বাঙ্গাল(রহ) পাঞ্জাবি টেইলার্সের মালিক জানালেন, “রমজান শুরুর পর থেকেই অর্ডারের চাপ বেড়ে গেছে। মৌসুমি কারিগররা নানা এলাকা থেকে এখানে কাজ করতে আসছেন।” প্রতিটি দোকানেই এখন সেলাই মেশিনের শব্দ এবং কাপড়ের কাটাকাটি চলছে। এ সময়, রেডিমেড পোশাকের পাশাপাশি অনেকেই অগ্রিম অর্ডার দিয়ে দর্জির কাছে পোশাক তৈরি করছেন। ক্রেতারা চাহিদামতো পোশাক বানাতে দর্জি দোকানগুলোতে ভিড় জমাচ্ছেন। কিছু দর্জি দোকান এখন নতুন অর্ডার নিচ্ছে না, কারণ কাজের চাপ এতটাই বেশি।
একজন দর্জি মো. জামিনুল ইসলাম বলেন, “ঈদ এলেই কাজের চাপ বাড়ে। এই সময়ে সাধারণত পাঞ্জাবি অর্ডার বেশি আসে।” দর্জি ব্যবসায়ীরা সারা বছর এই সময়টার জন্য অপেক্ষা করেন। রমজানের ঈদের সময় তাদের পুরো বছরের ৯০ শতাংশ কাজ হয়। এর মাধ্যমে তারা নিজেদের রুজি-রোজগারের প্রধান আয় অর্জন করেন। ঈদকে সামনে রেখে এখন দর্জি দোকানগুলোতে চরম ব্যস্ততা, এবং এক মুহূর্তের জন্যও কাজ থামানোর সুযোগ নেই।
দর্জিদের জন্য ঈদ হলো তাদের সবচেয়ে ব্যস্ততম সময়, যখন তারা নতুন পোশাক বানিয়ে ক্রেতাদের আনন্দের অংশীদার হন। তাদের দিন-রাত এক করে দেওয়ার মধ্য দিয়ে এগিয়ে চলে ঈদের প্রস্তুতি।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।