পরকালের প্রথম মনজিল কবর। এ মনজিল সহজে পার হতে পারলেই মুক্তি। পরের সব মনজিল তার জন্য সহজ হয়ে যাবে। এ জন্য আম্বিয়ায়ে কেরাম থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত যত আল্লাহ প্রেমিক বান্দা দুনিয়াতে এসেছেন এবং আছেন, তারা সবাই কবর থেকে মুক্তির জন্য কান্না করতেন এবং করেন। নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামও কবরে থেকে মুক্তি পেতে তাঁর উম্মতকে বিশেষভাবে তাগিদ দিয়েছেন। আল্লাহর কাছে এভাবে প্রার্থনা করতে বলেছেন-
أَللَّهُمَّ إِنِّى أَعُوْذُبِكَ مِنْ عَذاَبِ الْقَبْرِ
উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিন আজাবিল ক্ববরি।
অর্থ : ‘হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে কবরের আজাব থেকে আশ্রয় চাই।
দোয়ার উৎসা
হজরত বারা ইবনে আযিব রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, আমরা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সঙ্গে এক আনসারি সাহাবির জানাজায় শরিক হওয়ার জন্য বের হলাম। তখনও কবরের খনন কাজ শেষ হয়নি। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কিবলামুখী হয়ে বসে পড়লেন। আমরাও তাঁর চারপাশে বসে গেলাম। তাঁর হাতে ছিল একটি কাঠি। তা দিয়ে তিনি মাটিতে খুঁচাতে ছিলেন এবং একবার আকাশের দিকে তাকাচ্ছিলেন আর একবার জমিনের দিকে মাথা অবনত করছিলেন। (এভাবে) তিনবার তিনি দৃষ্টি উঁচু-নিচু করলেন। অতপর বললেন, ‘তোমরা আল্লাহর কাছে কবরের আজাব থেকে আশ্রয় চাও। কথাটি তিনি দুইবার অথবা তিনবার বললেন। এরপর তিনি এ দোয়াটি পড়লেন-
أَللَّهُمَّ إِنِّى أَعُوْذُبِكَ مِنْ عَذاَبِ الْقَبْرِ
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা ইন্নি আউ-জুবিকা মিন আ’জা-বিল ক্ববরি।
অর্থ : ‘হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে কবরের আযাব থেকে আশ্রয় চাই।
মুমিন মুসলমানের উচিত, নবিজির দিকনির্দেশনা অনুযায়ী আল্লাহর কাছে বেশি বেশি কবরের আজাব থেকে মুক্তি চাওয়া। আখেরাতের প্রথম মনজিল কবর থেকে মুক্তির প্রার্থনা করা।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে কবরের আজাব ও ভয়াবহতা থেকে বাঁচতে হাদিসের ওপর আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।