ঈদের নামাজ ইসলামের অন্যতম বিশেষ ইবাদত, যা দুই রাকাত বিশিষ্ট এবং নির্দিষ্ট নিয়ম অনুসরণ করে আদায় করা হয়। ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহার নামাজের মধ্যে সামান্য পার্থক্য থাকলেও উভয় নামাজের মৌলিক নিয়ম এক।
নিয়ত করে তাকবিরে তাহরিমা বলার পর হাত বাঁধতে হয় এবং সূরা ফাতিহার পূর্বে অতিরিক্ত ছয়টি তাকবির বলা হয়। প্রথম রাকাতের তিনটি তাকবিরের পর হাত বাঁধতে হয় এবং দ্বিতীয় রাকাতের তিনটি তাকবিরের পর রুকুতে যেতে হয়।
ইমাম আওয়াজে বিল্লাহ ও বিসমিল্লাহ পাঠ করে সূরা ফাতিহা এবং অতিরিক্ত কিরাত পাঠ করেন। প্রথম রাকাতে সাধারণত ‘সাব্বিহিসমা’ এবং দ্বিতীয় রাকাতে ‘হালআতাকা’ সূরা পড়া মুস্তাহাব। এরপর যথারীতি রুকু, সিজদাহ এবং শেষ বৈঠকে আত্তাহিয়্যাতু, দরুদ ও দোয়া পড়ে সালাম ফিরিয়ে নামাজ শেষ করতে হয়।
ঈদের নামাজের পর খুৎবা দেওয়া হয়, যা শ্রবণ করা মুস্তাহাব। এতে ঈদের তাৎপর্য, ধর্মীয় উপদেশ এবং সমাজের কল্যাণমূলক বার্তা প্রদান করা হয়। ঈদুল আজহার খুৎবায় কোরবানির গুরুত্ব সম্পর্কে আলোচনা করা হয়।
ঈদুল ফিতরের সকালে কিছু খাওয়া সুন্নত, আর ঈদুল আজহার নামাজের আগে কিছু না খেয়ে কোরবানির মাংস দ্বারা আহার করা মুস্তাহাব। এটি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নত হিসেবে পরিচিত।
ঈদুল আজহার নামাজের পর তাকবির উচ্চ স্বরে বলা সুন্নত, যা ঈদের দিন ফজরের নামাজ থেকে শুরু করে তাশরিকের শেষ দিন পর্যন্ত চালিয়ে যেতে হয়। এ সময় বেশি বেশি তাকবির বলা গুরুত্বপূর্ণ।
কোরবানির বিধান অনুযায়ী, ঈদের নামাজের আগে কোরবানি করা বৈধ নয়। নামাজের পর কোরবানি করতে হয় এবং এটি সুন্নাতে মুয়াক্কাদা ইবাদত, যা সামর্থ্যবান মুসলমানদের জন্য প্রযোজ্য।