আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং ঢাকা-৭ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার ভোরে রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার তালেবুর রহমান।
ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন আওয়ামী লীগের দীর্ঘমেয়াদী নেতা এবং চিকিৎসা পেশায় উল্লেখযোগ্য অবদান রাখার পাশাপাশি রাজনৈতিক অঙ্গনেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। তার গ্রেপ্তারের বিষয়ে বিস্তারিত কোনো কারণ তাৎক্ষণিকভাবে জানানো হয়নি। তবে ধারণা করা হচ্ছে, সাম্প্রতিক একটি মামলার ভিত্তিতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এটি রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোড়ন সৃষ্টি করতে পারে। গ্রেপ্তারের পর তাকে কোথায় রাখা হয়েছে এবং কী ধরনের আইনি প্রক্রিয়া চলছে, সে বিষয়ে পুলিশ এখনো বিস্তারিত জানায়নি।
মোহাম্মদপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে পুলিশ ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে। তার বিরুদ্ধে যেকোনো অভিযোগ প্রমাণিত হলে তা রাজনৈতিক অঙ্গনে বড় ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন দেশের একজন খ্যাতিমান চিকিৎসক এবং আওয়ামী লীগের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। তার গ্রেপ্তারের বিষয়টি রাজনৈতিক ও সামাজিক ক্ষেত্রে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
গণমাধ্যমে প্রচারিত খবর অনুযায়ী, গ্রেপ্তারের ঘটনাটি আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে নতুন আলোচনা তৈরি করতে পারে। বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এই মামলার বিষয়ে আরও তথ্য সংগ্রহ করছে।
ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিনের গ্রেপ্তারের ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। আওয়ামী লীগের নেতারা এই বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে তার মুক্তির দাবিতে কিছু এলাকায় ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গ্রেপ্তারের কারণ ও প্রাসঙ্গিক তথ্য শিগগিরই প্রকাশ করা হবে। এ ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে নতুন উত্তেজনার সৃষ্টি হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।