নির্বাচনী ব্যবস্থায় যে গুরুত্বপূর্ণ ১০ দফা প্রস্তাব করলো-জামায়াতে ইসলামী

নিজস্ব প্রতিবেদক
মোঃ সাইফুল ইসলাম, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: শুক্রবার ১৮ই অক্টোবর ২০২৪ ১১:০৩ পূর্বাহ্ন
নির্বাচনী ব্যবস্থায় যে গুরুত্বপূর্ণ ১০ দফা প্রস্তাব করলো-জামায়াতে ইসলামী

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বমূলক ব্যবস্থা চালু করার পাশাপাশি নির্বাচনব্যবস্থায় সংস্কার নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে ১০ দফা প্রস্তাবনা তুলে ধরেছে। সংগঠনের মতে, এসব সংস্কার নির্বাচন প্রক্রিয়াকে সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।


প্রস্তাবনায় উল্লেখ করা হয়েছে, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বমূলক ব্যবস্থা কার্যকর করার প্রয়োজনীয়তা। সংগঠনটি মনে করে, এর মাধ্যমে নির্বাচনে বিভিন্ন দলের সঠিক প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত হবে এবং রাজনৈতিক সংকট কমবে। 


সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য কেয়ারটেকার সরকারব্যবস্থাকে স্থায়ীভাবে সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করার সুপারিশ করেছে জামায়াতে ইসলামী। তারা দাবি করছে, সরকারী চাকরিজীবীরা চাকরি ছাড়ার পর কমপক্ষে তিন বছর পর্যন্ত নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না, যাতে নির্বাচনের সময় রাজনৈতিক পক্ষপাতিত্ব কমে।


প্রস্তাবে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে নির্দলীয় পদ্ধতি অনুসরণ করার কথাও বলা হয়েছে। এছাড়াও, রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন প্রথা, যা ২০০৮ সালে প্রবর্তিত হয়েছিল, তা বাতিল করার দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি। তারা বলছে, এটি নির্বাচনে অংশগ্রহণকে সংকুচিত করে এবং জন প্রতিনিধিত্বের স্বার্থে ক্ষতিকর।


নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের জন্য প্রধানমন্ত্রী, বিরোধীদলীয় নেতা ও প্রধান বিচারপতির সমন্বয়ে একটি সার্চ কমিটি গঠনের প্রস্তাব দিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। এর মাধ্যমে কমিশনের নিরপেক্ষতা বাড়বে বলে তারা মনে করে। 


আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব হলো, জাতীয় সংসদ নির্বাচন একাধিক দিনে অনুষ্ঠিত করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা এবং এনআইডি ব্যবস্থাপনাকে নির্বাচন কমিশনের অধীনে নিয়ে আসা। সংগঠনটির মতে, এতে নির্বাচনের স্বচ্ছতা বৃদ্ধি পাবে এবং ভোটারের পরিচয় যাচাইয়ের প্রক্রিয়া আরও নির্ভরযোগ্য হবে।


জামায়াতে ইসলামী আশা করে, তাদের প্রস্তাবনা কার্যকর হলে বাংলাদেশের নির্বাচনী প্রক্রিয়া আরও শক্তিশালী হবে এবং গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের ভিত্তিতে উন্নতি ঘটবে। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও সুশাসন প্রতিষ্ঠায় এ ধরনের সংস্কার অপরিহার্য।