হাসি-রসিকতা করেও মিথ্যা বলা গুনাহ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: শুক্রবার ১৪ই জুন ২০১৯ ১০:০৫ পূর্বাহ্ন
হাসি-রসিকতা করেও মিথ্যা বলা গুনাহ

সভা-মঞ্চে শ্রোতার মনোযোগ আকর্ষণে কিংবা কথায় রং ধরাতে অনেকে মিথ্যা বলেন। আবার কেউ কেউ স্বাভাবিক হাসি-রসিকতায় মিথ্যার বেসাতি সাজান। তারা মনে করেন, এভাবে মিথ্যা বলা বৈধ। অথচ রসিকতা করেও মিথ্যা বলা হারাম আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুল (সা.) বলেন, ‘আমি রসিকতা করি ঠিক, তবে সত্য ব্যতীত কখনো মিথ্যা বলি না।’ (তাবরানি ফিল মুজামুল কাবির, খণ্ড: ১২, পৃষ্ঠা: ৩৯১; সহিহ আল-জামে, হাদিস নং: ২৪৯৪) আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণনা করেন, একবার সাহাবায়ে কেরাম বললেন, ‘হে আল্লাহ রাসুল, আপনি তো আমাদের সঙ্গে রসিকতা করেন। তিনি বললেন, ‘আমি সত্য ছাড়া ভিন্ন কিছু বলি না।’ (তিরমিজি, হাদিস নং: ১৯৯০) আব্দুর রহমান ইবনে আবি লায়লা (রহ.) বলেন, রাসুল (সা.)-এর সাহাবিগণ বলেছেন যে, তারা রাসুল (সা.) সঙ্গে কোনো সফরে ছিলেন।

তখন তাদের একজন ঘুমিয়ে পড়লে অন্য কেউ তার তীর নিয়ে নেয়। পরে লোকটি ঘুম থেকে জাগ্রত হয়ে ভয় পেয়ে যায়। এ দৃশ্য দেখে সবাই হেসে দেন। তখন রাসুল (সা.) বললেন, ‘তোমরা হাসলে কেন?’ তারা বলল, কিছু হয়নি। তবে আমি তার তীরটি নিয়েছিলাম আর এতেই সে ঘাবড়ে গেছে। রাসুল (সা.) বললেন, ‘কোনো মুসলিমের জন্য অন্য মুসলিমকে ভয় দেখানো বৈধ নয়।’ (আবু দাউদ, হাদিস নং: ৫০০৪, আহমদ, হাদিস নং: ২২৫৫৫, সহিহ আল-জামে, হাদিস নং: ৭৬৫৮) অন্য এক হাদিসে রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘তোমারা অন্য কারো আসবাবপত্র ইচ্ছায় বা রসিকতা করে ধরবে না। কেউ কারো কিছু ধরে থাকলে, তার উচিত তাকে তা ফেরৎ দেওয়া।’ (আবু দাউদ, হাদিস নং: ৫০০৩, তিরমিজি, হাদিস নং: ২১৬০, সহিহ আল-জামে, হাদিস নং: ৭৫৭৮)