মঙ্গলবার, ৪ নভেম্বর, ২০২৫১৯ কার্তিক, ১৪৩২
logo
ENকনভার্টার
  • জাতীয়
  • রাজনীতি
  • আন্তর্জাতিক
  • বিনোদন
  • সম্পাদকীয়
  • খেলাধুলা
    • বিশ্বকাপ
    • ক্রিকেট
    • ফুটবল
    • অন্যান্য খেলাধুলা
  • বাংলাদেশ
  • বিবিধ খবর
  • বিশেষ প্রতিবেদন
  • অন্যান্য
    • আইন-আদালত
    • সাহিত্য
    • প্রবাস জীবন
    • কৃষি
    • বাংলাদেশে করোনা
    • গনমাধ্যম
    • আবহাওয়া
    • জাতীয় সংসদ নির্বাচন
    • ভাইরাল টপিক
    • অর্থনীতি
    • ব্যবসা ও বাণিজ্য
    • বিজ্ঞান-প্রযুক্তি
    • অপরাধ
    • স্বাস্থ্য
    • ধর্ম
    • বন্যা পরিস্থিতি
    • জনদুর্ভোগ
    • প্রতিবেশী
    • পর্যটন
    • মজার খবর
    • শিক্ষা
    • শেয়ার বাজার
    • চাকুরী
    • লাইফস্টাইল
অনুসন্ধান
logo
  • জাতীয়
  • রাজনীতি
  • আন্তর্জাতিক
  • বিনোদন
  • সম্পাদকীয়
  • খেলাধুলা
  • বাংলাদেশ
  • বিবিধ খবর
  • বিশেষ প্রতিবেদন
  • অন্যান্য
logo
  • হোম
  • জাতীয়
  • রাজনীতি
  • আন্তর্জাতিক
  • বিনোদন
  • সম্পাদকীয়
  • খেলাধুলা
  • বাংলাদেশ
  • বিবিধ খবর
  • বিশেষ প্রতিবেদন
  • অন্যান্য
  • অনুসন্ধান করুন
  • সোশ্যাল মিডিয়াতে আমরা
Logo

সম্পাদক : মোঃ শওকত হায়দার (জিকো)

প্রকাশক : ইনিউজ৭১ মিডিয়া লিমিটেড

হাউজ: নাম্বার ৫৫ , দ্বিতীয় তলা, রোড নাম্বার ৬/এ , সেক্টর - ১২ উত্তরা, ঢাকা - ১২৩০ ।

ফোন: +880 258 053 897, ইমেইল: [email protected] , [email protected]

গোপনীয়তার নীতি

ব্যবহারের শর্তাবলি

যোগাযোগ

আমাদের সম্পর্কে

আমরা

সোশ্যাল মিডিয়াতে আমরা

স্বত্ব © ইনিউজ৭১.কম

ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

ধর্ম

বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর আদর্শ জীবন

Ziaul Hoque
জিয়াউল হক, নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১:২৪

শেয়ার করুনঃ
বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর আদর্শ জীবন
হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)
https://enews71.com/storage/ads/01JR36BQSKCPE69WB8Z3TARXE3.jpg

সোশ্যাল মিডিয়াতে আমরা

https://enews71.com/storage/ads/01JR3CX28Y9BM01PRE4TXCNDWF.jpg

হযরত মুহাম্মাদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এমন এক নবী যাঁকে আল্লাহ তা’য়ালা ‘বিশ্বনবী’ করেছেন । তিনি সারা বিশ্বের সকল মানুষদের জন্য রহমত স্বরুপ । এর আগের নবীগণকে আল্লাহ নির্দিষ্ট জাতি, সম্প্রদায় বা ভূ-খন্ডের জন্য নবী বা ঈশ্বরের দূত করেন কিন্তু মুহাম্মাদ (সা.) কে সারা বিশ্বের সকল মানুষ এবং জ্বীন সম্প্রদায়ের নবী করা হয় । মহান আল্লাহ মুহাম্মাদ (সা.) সম্পর্কে বলেন, অবশ্যই তোমাদের নিকট আগমন করেছে তোমাদেরই মধ্যকার এমন একজন রসূল, যার কাছে তোমাদের ক্ষতিকর বিষয় অতি কষ্টদায়ক মনে হয়, যে তোমাদের খুবই হিতাকাঙ্খী, বিশ্বাসীদের প্রতি বড়ই স্নেহশীল, করুণাপরায়ণ, (সুরা তাওবা/১২৮)। আল্লাহ আরো বলেন, আমি তো তোমাকে (নবীজীকে) বিশ্বজগতের প্রতি শুধু করুণা রুপেই প্রেরণ করেছি, (সুরা আম্বিয়া/১০৭)। এছাড়াও তিনি বলেন, আমি তো তোমাকে সমগ্র মানবজাতির প্রতি সসংবাদদাতা ও সতর্ককারীরুপে প্রেরণ করেছি,কিন্তু অতিকাংশ মানুষ তা জানে না, (সুরা সাবা/২৮)। মুহাম্মাদ (সা.) ছিলেন মহান চরিত্রের অধিকারী, তিনি মানুষদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ । তাঁর দৈনন্দিন জীবনের সবকিছু আমাদের জন্য শিক্ষনীয়, অনুসরণীয় । মহান আল্লাহ তাঁর সম্পর্কে বলেন, ‘তুমি অবশ্যই মহান চরিত্রের অধিকারী, (সুরা ক্বালাম/৪)। তাঁর আদর্শ জীবন থেকে কিছু আপনাদের কাছে পেশ করব।

তিনি উত্তম কথা বলতেন, সালাম প্রচার করতেন এবং মানুষদের খাদ্য দান করতেন । তিনি বলেন, ‘উত্তম কথা বলো নতুবা চুপ থাকো, (বুখারী)। এছাড়াও বলেন, জান্নাত অনিবার্যকারী কর্ম হল, উত্তম কথা বলা, সালাম প্রচার করা এবং অন্ন দান করা,। (ত্বাবারানী, ইবনে হিব্বান, হাকেম, সঃ তারগীব/২৬৯৯)।

আরও

জুমার দিন: সপ্তাহের ঈদ ও ইবাদতের সর্বোত্তম মুহূর্ত

জুমার দিন: সপ্তাহের ঈদ ও ইবাদতের সর্বোত্তম মুহূর্ত

তিনি মহান চরিত্রের অধিকারী ছিলেন । আল্লাহও সেই কথা কোরআনে বলেছেন । তিনি উত্তম চরিত্রকে ভালোবাসতেন এবং ঘৃণা করতেন বখাটে, অশ্লীল, অহংকারী লোককে । তিনি বলেছেন, তোমাদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ ব্যক্তি সে, যার চরিত্র সবার চেয়ে সুন্দর, (বুখারী/৬০২৯; মুসলিম/২৩২১)। তিনি আরো বলেন, অবশ্যই সচ্চরিত্রবান ব্যক্তি তার সুন্দর চরিত্রের বলে (নফল) নামাজী ও রোজাদারের মর্যাদায় পৌছে থাকে, (আহমাদ; আবু দাউদ/৪৮০০)।তিনি ছিলেন আদর্শ স্বামী । তিনি স্ত্রীদের সাথে সর্বোত্তম ব্যবহার করতেন। তিনি বলেছেন, সবার চেয়ে উত্তম ব্যক্তি সে, যার চরিত্র সবার চেয়ে সুন্দর এবং তোমাদের মধ্যে সর্বাপেক্ষা উত্তম ব্যক্তি সেই, যে তোমাদের মধ্যে নিজ স্ত্রীদের নিকট উত্তম। (আহমাদ; তিরমিযী; ইবনে হিব্বান; সহীহুল জামে/১২৩২)

তিনি আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখতে উতসাহ দিয়েছেন এবং প্রতিবেশিদের কষ্ট দিতে নিষেধ করেছেন । তিনি বলেন, আত্মীয়তার বন্ধন বজায় রাখা, সুন্দর চরিত্র অবলম্বন করা এবং প্রতিবেশির সাথে সদ্ব্যবহার রাখায় দেশ আবাদ থাকে এবং আয়ু বৃদ্ধি পায়’ (আহমাদ, সহীহুল জামে/৩৭৬৭)।

আরও

আল্লাহর পথে ফিরে আসাই আত্মার শান্তি

আল্লাহর পথে ফিরে আসাই আত্মার শান্তি

সকল নবী ও মহাপুরুষদের ন্যায় তিনি ছিলেন নম্র ও বিনয়ী । নিশ্চয়ই এটি সুন্দর চরিত্রের অন্যন্য গুণ । তিনি ছোট-বড়, গরীব-ধনী সকলকেই সন্মান করতেন । একদা এক ব্যক্তি তাঁর সামনে এসে কথা বলতে গিয়ে কাঁপতে শুরু করল । তিনি তাকে সাহস দিয়ে বললেন – ‘প্রকৃতিস্থ হও । আমি তো কোন বাদশা নই । আমি এমন মায়ের পুত, যে (মক্কার বাতহাতে) রোদে শুকানো গোশত খেতো’ (সিঃ সহীহাহ/১৮৭৬)। তিনি বলেন, ‘যে ব্যক্তি পছন্দ করে যে লোক তার সন্মানার্থে দাঁড়িয়ে থাকুক, সে যেন নিজের বাসস্থান জাহান্নামে বানিয়ে নেয়’ (তিরমিযী, আবু দাউদ, সিঃ সহীহাহ/৩৫৭)।

তিনি তাঁর চাকরের সাথেও উত্তম ব্যবহার করতেন এবং কোন দিন দুর্ব্যবহার করেননি । তাঁর খাদেম আনাস (রা.) বলেন, ‘আমি দশ বছর পর্যন্ত রাসুলুল্লাহ (সা.) –এর খিদমত করেছি । তিনি কখনও আমার জন্য ‘উহঃ’ শব্দ বলেননি । কোন কাজ করে বসলে তিনি একথা জিজ্ঞেস করেননি যে, ‘তুমি এ কাজ কেন করলে?’ এবং কোন কাজ না করলে তিনি বলেননি যে, ‘এ কাজ কেন করলে না?’ (বুখারী/৬০৩৮; মুসলিম/৬১৫১)। এছাড়াও তিনি চাকরদের প্রতি সুব্যবহার করতে আদেশ করেছেন এবং তাদেরকে ক্ষমা করতে বলেছেন । একজন চাকরদের দিনে কতবার ক্ষমা করব জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন দিনে সত্তর বার ।তিনি ছিলেন সহিষ্ণু ও ক্ষমাশীল । তাঁর সারা জীবনে এর অনেক উদাহরণ ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। মুর্খ, অজ্ঞানী, অহংকারী, নির্বোধদের বর্বর ব্যবহার ও নিকৃষ্ট সমালোচনায় তিনি সহনশীলতার পরিচয় দিয়েছেন এবং তাদেরকে ক্ষমা করেছেন । এমনকি তাদের জন্য দু’আও করেছেন । তায়েফের ঘটনা এর সবথেকে বড় প্রমাণ । তিনি তায়েফবাসীদের অন্ধকার থেকে আলোতে আনতে গেলেন অথচ তারা তার প্রতি কতই না নিকৃষ্ট ব্যবহার করে রাসুলুল্লাহকে রক্তাক্ত করে ছাড়ল । তারপরেও তিনি তাদের উপর বদ্দুয়া করেননি । অথচ তাঁর এক বদ্দুয়াতেই তায়েফ নামের জায়গাটা ধ্বংশ হয়ে যেত ! তিনি বলতেন, ‘আমি অভিশাপকারীরুপে প্রেরিত হইনি । আমি তো করুণারুপে প্রেরিত হয়েছি,। (মুসলিম/৬৭৭৮)

তিনি ছিলেন দয়ার সাগর । তিনি অপরের প্রতি দয়াশীল ছিলেন এবং মানুষকে দয়াশীলতার শিক্ষা দিতেন । তিনি বলতেন, ‘যে দয়া করে না তার প্রতি দয়া করা হয় না’ (বুখারী/৬০১৩; মুসলিম/৬১৭০)। ‘যে ব্যক্তি মানুষের প্রতি দয়া করবে না, আল্লাহও তার প্রতি দয়া করবেন না’ (বুখারী/৭৩৭৬; মুসলিম/৬১৭২)। তিনি আরো বলতেন, ‘দয়ার্দ্র মানুষদেরকে পরম দয়াময় (আল্লাহ) দয়া করেন । তোমরা পৃথিবীবাসীর প্রতি দয়া প্রদর্শন করো, তাহলে তিনি তোমাদের প্রতি দয়া করবেন, যিনি আকাশে আছেন’ (তিরমিযী; সহীহ আবু দাউদ/৪১৩২)।

https://enews71.com/storage/ads/01JQ184AJV9F0T856X9BBSG85X.gif

তিনি মানুষকে ভালো বাসতেন । কুশ্রী বা অসুন্দর বলে কাউকে হেয় করতেন না । তিনি গুণ দেখতেন । এক মরুবাসী সাহাবী ছিলেন যাহের (রা.) তাঁকে নবীজী ভালোবাসতেন। যাহের কুশ্রী ছিলেন । একদা তিনি নিজের পণ্য বিক্রি করছিলেন । এমতাবস্থায় নবী (সা.) তাঁর কাছে এসে তাঁর পিছন থেকে বগলের নিচে হাত পার ক’রে জরিয়ে ধরলেন । (অথবা তাঁর পিছন থেকে জরিয়ে ধরে তাঁর চোখ দুটিতে হাত রাখলেন)। যাতে তিনি দেখতে না পান । যাহের বললেন, ‘কে? আমাকে ছেড়ে দিন’। অতঃপর তিনি লক্ষ্য করলেন বা বুঝতে পারলেন, তিনি নবী (সা.) । সুতরাং নিজের পিঠকে ভালোভাবে তাঁর (অপার স্নেহময়) বুকে লাগিয়ে দিলেন । নবী (সা.) বললেন, ‘কে গোলাম কিনবে? যাহের বললেন, আল্লাহর কসম! আমাকে সস্তা পাবেন! (একথা শুনে) নবীজী বললেন, ‘কিন্তু তুমি আল্লাহর কাছে মুল্যবান,। (আহমাদ; আবু ইয়্যালা; মিশকাত/৪৮৮৯)।তিনি লোকেদের সাথে সুসম্পর্ক রাখতেন। এবং তাঁর সাথে কারও সাক্ষাত হলেই তাকে তিনি হাসি মুখে বরণ করতেন । যেমন, জারীর বিন আব্দুল্লাহ (রা.) বলেন, ‘আল্লাহর রাসুল (সা.) যখনই আমাকে দেখতেন, তখনই মুচকি হাসতেন, (বুখারী/৩০৩৫; মুসলিম/৬৫১৯)। নবী (সা.) বলতেন, ‘কল্যাণমুলক কোন কর্মকেই অবজ্ঞা করো না, যদিও তা তোমার ভাইয়ের সাথে হাসিমুখে সাক্ষাত করেও হয়’ (মুসলিম/৬৮৫৭)।

তিনি উপহার বিনময় করতেন এবং একে অপরকে উপহার দিতে নির্দেশ দিয়েছেন । তিনি বলেছেন, ‘তোমরা উপহার বিনিময় কর, পারস্পারিক সম্প্রীতি লাভ করবে’ (বাইহাক্বী; সহীহুল জামে/৩০৮)। তিনি আরো বলেন, ‘হে আমার সন্তানগণ! তোমরা আপোসে (উপঢৌকন) বিনিময় কর, যেহেতু তা তোমাদের আপোসে বেশি সম্প্রীতিকর’। (আল আদাবুল মুফরাদ/৫৯৫)।

তিনি দান করতে উতসাহ দিয়েছেন । এবং এই দানের ক্ষেত্রে ধর্মের ভেদাভেদ রাখেননি । তিনি বলেছেন, ‘তোমরা সকল ধর্মের মানুষদেরকে দান কর,। (ইবনে আবী শাইবা; সিঃ সহীহাহ/২৭৬৬)।

তিনি পশুপাখিদের প্রতি ছিলেন দয়াশীল । একদা তাঁকে জিজ্ঞেস করা হয়, ‘হে আল্লাহর রাসুল! চতুষ্পদ জন্তুর প্রতি দয়া প্রদর্শনেও কি আমাদের সওয়াব আছে?’ তিনি বললেন, ‘হ্যা! প্রত্যেক জীবের প্রতি দয়া প্রদর্শনে নেকি রয়েছে’ (বুখারী/২৪৬৬; মুসলিম/২২৪৪)। একবার এক সাহাবী উঠকে পানি পান করালে নেকি হবে কিনা জিজ্ঞেস করলে নবীজী বলেন, ‘হ্যা, প্রত্যেক পিপাসার্ত প্রানী (কে পানি পান করানো) তে সওয়াব আছে’ (সহীহ ইবনে মাজাহ/২৯৭২; বাইহাক্বী)।

তিনি সমাজসেবামুলক কাজ যেমন কুয়া খুড়া, গাছ লাগানো, রাস্তা থেকে কষ্টদায়ক বস্তু সরানো ইত্যাদি কাজের নির্দেশ দিয়েছেন । তিনি বলেছেন, যে ব্যক্তি কুয়া খুঁড়বে, যে কুয়া থেকে কোন পিপাসার্ত জীব, জ্বীন, মানুষ অথবা পাখি পানি পান করলেই কিয়ামাতের দিন আল্লাহ তাকে সওয়াব দান করবেন’ (বুখারী তারীখ, ইবনে খুযাইমা, সঃ তারগীব/৯৬৩)।

তিনি মানুষ সম্পর্কে বলতেন, ‘সবচেয়ে নিকৃষ্ট লোক তারা, যাদের অনিষ্ট থেকে বাঁচার জন্য তাদের তোয়ায করা হয়, (আবু দাউদ; সহীহুল জামে/৭৯২৩)। তিনি আরো বলেন, ‘শ্রেষ্ঠ মানুষ হল সেই ব্যক্তি, যে অপরের সাথে মিশতে পারে এবং অপরেও তার সাথে মিশতে পারে’ (সহীহুল জামে/১২৩১)।সৎ ভাবে উপার্জন নিঃসন্দেহে শ্রেষ্ঠ উপার্জন যদিও তা অল্প হয় এবং সেই কাজকে সমাজ ছোট কাজ বলে। তিনি বলতেন, ‘সর্বাপেক্ষা উত্তম উপার্জন হল সৎ ব্যবসা এবং নিজের হাতের মেহনত’ (আহমাদ; সহীহুল জামে/১১২৬)। তিনি আরো বলতেন, ‘স্বহস্তে উপার্জন করে যে খায়, তার চাইতে উত্তম খাদ্য অন্য কেউ ভক্ষন করে না। (বুখারী/২০৭২)

শিক্ষা ছাড়া কোন সমাজই উন্নতি করতে পারে না। তিনি শিক্ষার প্রতি গুরুত্ব দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, প্রত্যেক মুসলিম পুরুষ এবং নারীর জন্য জ্ঞান অর্জন করা ফরজ বা আবশ্যকীয়, (ইবনে মাজাহ) ।

এরকম হাজারো শিক্ষা আমরা নবীজীর জীবন থেকে পাই। তারমধ্যে মাত্র কিছু জিনিস তুলে ধরলাম। সংক্ষিপ্ত লেখায় সব তুলে ধরা সম্ভব ও নয়। মহান আল্লাহ তায়ালা আমাদের সকলকে নবীজীর আদর্শ মেনে চলার তাওফিক দান করুন আল্লাহুম্মা আমিন।

লেখক: বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ লেখক ও কলামিস্ট হাফিজ মাছুম আহমদ দুধরচকী। সাবেক ইমাম ও খতিব কদমতলী হযরত দরিয়া শাহ্ (রহ.) মাজার জামে মসজিদ সিলেট। প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি জকিগঞ্জ উপজেলা সচেতন নাগরিক ফোরাম সিলেট।

সর্বশেষ সংবাদ

৩০০ আসনে প্রার্থী দেওয়ার প্রস্তুতি এনসিপির

৩০০ আসনে প্রার্থী দেওয়ার প্রস্তুতি এনসিপির

বগুড়া-৬ আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন তারেক রহমান

বগুড়া-৬ আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন তারেক রহমান

ফেনী-বগুড়া-দিনাজপুরে লড়বেন খালেদা জিয়া

ফেনী-বগুড়া-দিনাজপুরে লড়বেন খালেদা জিয়া

আসন্ন জাতীয় নির্বাচন: ২৩৭ আসনে প্রার্থীদের প্রাথমিক তালিকা দিল বিএনপি

আসন্ন জাতীয় নির্বাচন: ২৩৭ আসনে প্রার্থীদের প্রাথমিক তালিকা দিল বিএনপি

শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স: ভরসার হাসপাতাল নিজেই রোগী

শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স: ভরসার হাসপাতাল নিজেই রোগী

জনপ্রিয় সংবাদ

স্বপ্ন শিক্ষক হওয়ার: দারিদ্র্য আর প্রতিবন্ধকতার বিরুদ্ধে মনার লড়াই

স্বপ্ন শিক্ষক হওয়ার: দারিদ্র্য আর প্রতিবন্ধকতার বিরুদ্ধে মনার লড়াই

আগামী নির্বাচন নিরপেক্ষ করতে পারবে না: হাসনাত আবদুল্লাহ

আগামী নির্বাচন নিরপেক্ষ করতে পারবে না: হাসনাত আবদুল্লাহ

ভারত-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে ১০ বছরের প্রতিরক্ষা কাঠামো চুক্তি স্বাক্ষর

ভারত-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে ১০ বছরের প্রতিরক্ষা কাঠামো চুক্তি স্বাক্ষর

নতুন দেশ বিনির্মিাণের মাধ্যমে জবাবদিহীতার রাষ্ট্র সৃষ্টি করতে হবে: সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার

নতুন দেশ বিনির্মিাণের মাধ্যমে জবাবদিহীতার রাষ্ট্র সৃষ্টি করতে হবে: সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার

ভূরুঙ্গামারীতে সন্দেহভাজন চার নারীকে পুলিশে সোপর্দ

ভূরুঙ্গামারীতে সন্দেহভাজন চার নারীকে পুলিশে সোপর্দ

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন

জুমার দিন: সপ্তাহের ঈদ ও ইবাদতের সর্বোত্তম মুহূর্ত

জুমার দিন: সপ্তাহের ঈদ ও ইবাদতের সর্বোত্তম মুহূর্ত

ইসলামে সপ্তাহের সাত দিনের মধ্যে জুমার দিনকে সর্বোচ্চ মর্যাদা ও শ্রেষ্ঠত্ব দেওয়া হয়েছে। এ দিনকে বলা হয় সপ্তাহের ঈদ। পবিত্র কোরআন ও সহিহ হাদিসে জুমার দিনের বিশেষ ফজিলত, সম্মান, দোয়া কবুলের মুহূর্ত এবং ইবাদতের তাৎপর্য স্পষ্টভাবে বর্ণনা করা হয়েছে। জুমার দিন মুসলমানদের জন্য শুধু জামাতের নামাজ আদায়ের সময় নয়; বরং এটি আত্মার পরিশুদ্ধি, তাকওয়া অর্জন, সামাজিক বন্ধন দৃঢ়করণ এবং আল্লাহর

ব্যবসায় সততা মুসলমানের পরিচয়

ব্যবসায় সততা মুসলমানের পরিচয়

বর্তমান দুনিয়ায় ব্যবসা-বাণিজ্য মানুষের জীবনে অপরিহার্য। প্রতিদিনই বাজারে প্রতিযোগিতা বাড়ছে, লাভের লোভ মানুষকে নানা ভুল পথে নিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু ইসলাম ব্যবসায় সততা ও ন্যায়পরায়ণতাকে ঈমানের অংশ হিসেবে দেখেছে। একজন মুসলমান শুধু নামাজে নয়, লেনদেনের ক্ষেত্রেও আল্লাহভীতি ধারণ করে চলবে—এটাই প্রকৃত ধর্মীয়তা। কুরআনে আল্লাহ বলেন, মাপে ও ওজনে কম দিও না (সূরা হুদ, আয়াত ৮৪)। এই আয়াত আমাদের সততার মূল শিক্ষা দেয়।

সংকটের সময় আল্লাহর উপর ভরসা রাখার শিক্ষা

সংকটের সময় আল্লাহর উপর ভরসা রাখার শিক্ষা

জীবনের প্রতিটি মুহূর্তে মানুষ নানা রকম বিপদ, দুঃখ ও অনিশ্চয়তার মুখোমুখি হয়। কারো জীবনে আসে আর্থিক কষ্ট, কারো জীবনে আসে শারীরিক অসুস্থতা বা পারিবারিক সংকট। এসব অবস্থায় মানুষ প্রায়ই হতাশ হয়ে পড়ে। কিন্তু ইসলামের দৃষ্টিতে একজন মুমিনের উচিত প্রতিটি বিপদের সময় আল্লাহর উপর পূর্ণ ভরসা রাখা। আল্লাহ বলেন, “যে আল্লাহর উপর ভরসা করে, আল্লাহ তার জন্য যথেষ্ট।” (সূরা আত-তালাক: ৩)।

দুনিয়ার ব্যস্ততায় নামাজ ভুলে যাওয়া মুসলমানের ক্ষতি কত বড়

দুনিয়ার ব্যস্ততায় নামাজ ভুলে যাওয়া মুসলমানের ক্ষতি কত বড়

আজকের দুনিয়ায় মানুষ সময়ের পেছনে ছুটছে। কাজ, ব্যবসা, মোবাইল, সামাজিক যোগাযোগ—সবকিছুই আমাদের জীবনকে এমনভাবে ব্যস্ত করে ফেলেছে যে নামাজের সময় এলে অনেকেই বলে, ‘একটু পর পড়ব’। কিন্তু এই ‘একটু পর’-এর মধ্যেই মানুষ ভুলে যায়, হারিয়ে ফেলে আল্লাহর সঙ্গে যোগাযোগের সেই বরকতময় সম্পর্ক। ইসলামে নামাজকে শুধু একটি ফরজ কাজ নয়, বরং জীবনযাত্রার মূল কেন্দ্র হিসেবে দেখা হয়েছে। পবিত্র কুরআনে আল্লাহ বলেন, “নিশ্চয়ই

ধৈর্য ও আল্লাহর উপর ভরসাই মুমিনের শক্তি

ধৈর্য ও আল্লাহর উপর ভরসাই মুমিনের শক্তি

জীবনের প্রতিটি পর্যায়েই মানুষ নানা সংকট, দুঃখ-কষ্ট ও পরীক্ষার সম্মুখীন হয়। কখনও তা অর্থনৈতিক, কখনও পারিবারিক, আবার কখনও মানসিক। এসব অবস্থায় একজন মুমিনের উচিত নিজের ধৈর্য ধরে আল্লাহর উপর সম্পূর্ণ ভরসা রাখা। কুরআনে আল্লাহ বলেন, “নিশ্চয়ই আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সঙ্গে আছেন।” (সূরা আল-বাকারা: ১৫৩) এ আয়াতই প্রমাণ করে যে কঠিন পরিস্থিতিতে ধৈর্যই মুমিনের প্রকৃত অস্ত্র। মানুষ সাধারণত বিপদের সময় উদ্বিগ্ন ও হতাশ