সাধারণ অবস্থায় পানাহার ও স্ত্রী গমন হালাল হওয়া সত্ত্বেও রমজানে দিনের বেলা এগুলো থেকে বিরত থেকে তাকওয়ার অনুশীলন করা হয়। তা এভাবে যে, আল্লাহর নির্দেশের কারণে পুরো বছর যা হালাল ছিল, তা-ই হারাম হয়ে গেছে। তাহলে যা আগে থেকেই ১২ মাস হারাম-অশ্লীল ও গোনাহ, তা থেকে অবশ্যই বিরত থাকতে হবে। আর রমজানে তা থেকে বিরত থাকা তো আরও বেশি
১. দৃষ্টিকে গুনাহ থেকে বিরত রাখা
যেমন—বেগানা মেয়েদের দেখা থেকে হেফাজত করা। তা সরাসরি দেখা হোক বা টিভি-সিনেমায় দেখা হোক বা ম্যাগাজিন ও পত্রিকার ছবিতে হোক। অনেকে রোজা রেখে অবসর সময় নাটক-সিনেমা দেখে কাটায়। এতে তাদের রোজার সওয়াব কমে যায়।
২. মুখের হেফাজত করা
মিথ্যা, গিবত, পরনিন্দা, অশ্লীল কথাবার্তা ও ঝগড়া থেকে বিরত থাকা চাই। হাদিসে এসেছে, ‘যে ব্যক্তি রোজা অবস্থায় মিথ্যাচার ও মন্দ কাজ ত্যাগ করেনি, তার পানাহার ত্যাগে আল্লাহর কোনো প্রয়োজন নেই।’ (বুখারি ১৯০৩)
অন্য এক হাদিসে এসেছে, ‘রোজা অবস্থায় তোমাদের কেউ যেন অশ্লীল কথা না বলে এবং শোরগোল, হট্টগোলে লিপ্ত না হয়। যদি কেউ তার সঙ্গে গালিগালাজ বা মারামারি-কাটাকাটিতে লিপ্ত হতে চায়, তবে সে (অনুরূপ আচরণ না করে) বলবে, আমি রোজাদার।’ (সহিহ বোখারি : ১৯০৪)
বোঝা গেল, রোজা অবস্থায় মারামারি ও ঝগড়াঝাটি তো দূরের কথা, শোরগোল করাও রোজার আদব পরিপন্থী। অতএব, জবানকে এসব থেকে বিরত রেখে সর্বদা জিকির-আজকার ও কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে তরতাজা রাখতে হবে।
৩. কানের হেফাজত করা
রোজা রেখে গান-বাজনা, গিবত, পরনিন্দা ও অশ্লীল কথাবার্তা শোনা থেকে বিরত থাকা।
৪. খারাপ কাজ থেকে বিরত রাখা
অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গকে খারাপ কাজ থেকে বিরত রাখা। যেমন—হাত-পা ইত্যাদিকেও গুনাহ ও খারাপ কাজ থেকে বিরত রাখা।
৫. সেহরি ও ইফতারে হারাম খাবার পরিহার করা
ইমাম গাজালি রাহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন, ‘যে ব্যক্তি সারাদিন রোজা রেখে হারাম মাল দ্বারা ইফতার করে, সে যেন একটি অট্টালিকা নির্মাণ করে, আর একটি শহর ধ্বংস করে।’
৬. অন্তরকেও গুনাহ থেকে বিরত রাখা
রোজা রেখে গুনাহের কাজের কল্পনা করা, পেছনের গুনাহের কথা স্মরণ করে স্বাদ গ্রহণ করা, অহঙ্কার, হিংসা, কু-ধারণা ইত্যাদি থেকে অন্তরকে হেফাজত করা।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।