বৈরী আবহাওয়ায়ও পর্যটকে মুখরিত কক্সবাজার সৈকত

নিজস্ব প্রতিবেদক
গোলাম রব্বানী, নিজস্ব প্রতিনিধি (দিনাজপুর)
প্রকাশিত: রবিবার ৩০শে জুন ২০২৪ ০৭:৪৫ অপরাহ্ন
বৈরী আবহাওয়ায়ও পর্যটকে মুখরিত কক্সবাজার সৈকত

সাগরের উত্তাল পানির ঢেউ এ গা ভাসিয়ে দিতে কার না ভালো লাগে।সাগরে সৃষ্ট লঘুচাপে বৈরী আবহাওয়াকে উপেক্ষা করে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে আনন্দ উচ্ছাসে ভাসচ্ছে আগত পর্যাটকরা । লাখ ও পর্যটকদের পদভারে মুখরিত এখনার সমুদ্র সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্ট। ঈদুল আজহার ছুটির সময় কাটাতে সাগর শিশু কিশোর, যুবক যুবতীাহ সকল বয়সের পর্যটক ভিড় করছে সমুদ্র সৈকতে।

সাগরের নীলজল রাশিতে উচ্ছ্বাসে মেতেছে আগত পর্যটকরা। থেমে থেমে চলা বৃষ্টি কখনো আবার গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি আগত পর্যটকদের উচ্ছ্বাস কমাতে পারছে না কিছুতেই। পর্যটকদের নিরাপত্তায় নেয়া হয়েছে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা। পর্যটকদের যে কোন সমস্যায় সমুদ্র সৈকত এর বিভিন্ন পয়েন্টে টুরিস্ট পুলিশের কন্ট্রোল রুমের নাম্বার দেওয়া আছে এবং পর্যটকদের সুবিধার জন্য লকারে মালামাল রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। 


রবিবার (৩০ জুন) সৈকত এর সুগন্ধা পয়েন্টে আগত পর্যাটকদের সাথে কথা বলে অনেক কিছু অভিজ্ঞতা ও জানা গেছে। 


অবসর সময় ও বিশেষ ছুটি কাটাতে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারে ভিড় করছেন লাখো পর্যটক। সাগরে সৃষ্ট লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। ফলে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। কিন্তু এসব কিছু উপেক্ষা করে সৈকতের সব পয়েন্টে যেন পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড়।


এ বৃষ্টিতে পর্যটকের তেমন কোন সমস্যা হচ্ছে না বরং এ বৃষ্টিতে আবার অনেকে বাড়তি আনন্দও পাচ্ছে। সমুদ্র সৈকত ছাড়াও ইনানীর পাথুরে সৈকত, পর্যটন স্পট দরিয়ানগর, হিমছড়ি, ডুলাহাজারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক, রামুর বৌদ্ধ মন্দির ও মহেশখালীতে পর্যটকে মুখরিত।


নগরজীবনের যান্ত্রিকতা থেকে দূরে নীলসাগরের সুনীল জলরাশিতে অবিরত ঢেউ এর মাঝে বাঁধভাঙ্গা আনন্দে মেতেছেন ভ্রমণ পিপাসুরা। তাদের উল্লাসে যেন মুখরিত বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত।


সমিতির মাধ্যমে নয় বার সৈকতে আসা ফরিদপুর থেকে সমিতির সভাপতি মিজানুর বলেন, আমরা প্রতি বছর সমিতির মাধ্যমে একটা নির্ধারিত সময়ে বিভিন্ন বয়সের ভ্রমণ পিপাসুদের নিয়ে এসেছি। এখানে এসে অনেক ভালো লাগছে।


উত্তর বঙ্গের জেলা দিনাজপুর থেকে আসা রাব্বু মিয়া বলেন, আমরা প্রায় ৪০ জন কে নিয়ে সাত দিনের ভ্রমনে এসেছি। আমরা প্রথমে খাগড়াছড়িতে গিয়েছিলাম। গত রাতে এখানে এসে পৌঁছেছি। আজ হঠাৎ এখানে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। তারপরও সৈকত এর বিভিন্ন পয়েন্টে পর্যটকদের উপস্থিতি চোখে পরার মতো। বেলা বাড়ার সাথে সাথে বিভিন্ন পয়েন্টে পর্যটকদের উপস্থিতি আরও বাড়তে থাকে। কেউ সাগরের পানির বিশাল ঢেউ এ গোসল করতে ব্যস্ত, কেউ স্প্রিরিট বোর্ড নিয়ে সমুদ্রের ঢেউ এর সাথে খেলছে আবার কেউ ছবি তোলা নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা গেছে।


এখবর লেখা পর্যন্ত আজ বিকেল ৬ঃ২৪ মিনিট পর্যন্ত কক্সবাজারে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি ও মাঝারি বাতাস হতে দেখা গেছে। স্থানীয়রা বলছেন বর্তমানে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত এ ৩ নাম্বার সতর্ক সংকেত দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। 


কক্সবাজারে সৈকতে পর্যটকরা যাতে স্বাচ্ছন্দ্যে ভ্রমণ করতে পারে সেই লক্ষ্যে পুলিশের বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা চোখে পড়েছে। কক্সবাজারের প্রতিটি পর্যটন স্পটে পুলিশের পোশাক ও সাদা পোশাকের পুলিশ চোখে পড়েছে।এছাড়াও কক্সবাজারে আগত পর্যটকদের সমুদ্র স্নানে নিরাপত্তা দিতে পুলিশের পাশাপাশি বেসরকারি লাইফ গার্ড সংস্থার লাইফগার্ড কর্মীদের চোখে পড়েছে।

কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক এর পক্ষ থেকে আগত পর্যটকদের হয়রানি রোধে ভ্রাম্যমান আদালতের টিম সৈকত ও আশপাশের এলাকায় কাজ করতে দেখা গেছে।