সৌদি আরবের মদিনার কাছে ওমরাহযাত্রী বহনকারী একটি বাস দুর্ঘটনায় পড়ে অন্তত ৩৬ জনের মৃত্যু হয়েছে, আহত হয়েছেন আরও তিনজন। বুধবার রাতে মদিনা থেকে মক্কায় উমরাহ পালন করতে যাওয়ার পথে এ দুর্ঘটনা ঘটে। স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম বলছে- নিহতরা এশিয়া ও আরবের নাগরিক ছিলেন। তবে সেখানে কোনো বাংলাদেশি ছিলেন না বলে কনস্যুলেটের প্রাথমিক রিপোর্টের ভিত্তিতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
রিয়াদের বাথা এলাকার দার আল মিকাত উমরাহ অফিস থেকে ছেড়ে যাওয়া গাড়িতে ৩৯ জন উমরাহ যাত্রী ছিলেন। গাড়িতে বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান ও ইয়ামেনের নাগরিক ছিলেন। তাদের মধ্যে পাকিস্তানি ১১ জন, ইন্ডিয়ান ১৩ জন, ইয়ামেন ৫ জন ও চালক সিরিয়ার নাগরিক ছিলেন বলে জানিয়েছে উমরাহ অফিস। দার আল মিকাতের মালিক সৌদি নাগরিক লামি জানান, আমরা মূলত উমরাহ যাত্রীদের বাসের টিকেট বিক্রি করি। দুর্ঘটনাকবলিত গাড়িতে ৯ জন বাংলাদেশি ছিলেন। এর মধ্যে ৬ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে।
তারা হলেন, মোকতার হোসেন, হুমায়ুন কবির, নাসির, রুহুল আমিন, মানু মিয়া, সাকিব। বাকি ৩ জনের পরিচয় নিশ্চিতের চেষ্টা চলছে। জানা গেছে, অজ্ঞাতদের মধ্যে মোকতার হোসেনের সাথে একজন এবং রুহুল আমিনের সাথে দুইজন ছিলেন। এদিকে, নিহতদের লাশ মদিনার কিং ফাহাদ হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। সূত্রে জানা গেছে, নিয়ম অনুযায়ী গাড়ির সকল যাত্রীর নাম, ইকামা (রেসিডেন্ট পারমিট) নাম্বার এবং মোবাইল নম্বর সম্বলিত একটি ডকুমেন্টস গাড়িতে থাকলেও সেগুলো পুড়ে গেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জেদ্দা কনস্যুলেটের একজন কর্মকর্তা জানান, নিহতরা এতোটাই পুড়ে গেছে যে ডিএনএ পরীক্ষা ছাড়া তাদের পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব নয়। ডিএনএ পরীক্ষা করে নিহতদের পরিচয় নিশ্চিত হতে সৌদি প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান ওই কর্মকর্তা। বিষয়টি নিয়ে অনুসন্ধান চালানো হয়। অনুসন্ধানে জানা গেছে, দুর্ঘটনাকবলিত বাসটি মঙ্গলবার স্থানীয় সময় যোহরের পর ৫০ জন যাত্রী নিয়ে মদিনার উদ্দেশ্যে রিয়াদের বাথা থেকে ছেড়ে যায়। মদিনায় একদিন অবস্থানের পর বুধবার ৩৯ জন উমরাহ পালনের জন্য মক্কা যাওয়ার পথে রাস্তা সংস্কারের কাজে নিয়োজিত একটি ভেকোকে ধাক্কা দিলে আগুন লেগে যায়।
ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।