এরশাদের আসনে নির্বাচন করবেন বিদিশা!

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: রবিবার ১৪ই জুলাই ২০১৯ ০২:৫২ অপরাহ্ন
এরশাদের আসনে নির্বাচন করবেন বিদিশা!

জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান ও জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা সাবেক প্রেসিডেন্ট হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ আর নেই। তার মৃত্যুর পর তার এলাকার মানুষ ও স্থানীয় নেতাকর্মীরা দাবি জানিয়েছেন যে, এরশাদের দাফন যেনো হয় রংপুরে। রোববার (১৪ জুলাই) সকালে তার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে শোকাহত মানুষ জাপার জেলা কার্যালয়ে ভিড় করে এ দাবি করেন। তাদের একটাই বক্তব্য- রংপুরের সন্তান এরশাদকে নিজের বাড়ি পল্লী নিবাসেই দাফন করা হোক। এদিকে এরশাদের মৃত্যুতে রংপুর-৩ আসনটি এখন শূণ্য। তাই এখানে কাকে নির্বাচিত করা হবে এবং দল থেকে কে নির্বাচনে অংশ নিবেন তা নিয়ে চলছে কানাকানি। এ মূহুর্তে ভাই জি এম কাদের লালমনিরহাট-৩ আসন থেকে নির্বাচন করে জয়ী হয়ে সংসদে প্রতিনিধিত্ব করছেন। স্ত্রী রওশন এরশাদও বিরোধী দলের উপনেতা ও জাতীয় পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান হিসেবে রয়েছেন। তাই এরশাদের আসনে পরিবারের কেউ যে থাকছেন না তা নিশ্চিত করে বলাই যায়।

তবে নেতাকর্মীদের কারও কারও দাবি , এরশাদের সাবেক স্ত্রী বিদিশা পার্টির হাল ধরবেন। আর এরশাদের আসনটিতে তিনি নির্বাচন করবেন। কারণ এ মুহুর্তে পরিবারে অন্য কেউ নেই যে এরশাদের পর এ আসনের হাল ধরবেন। তাই বিকল্প হিসেবে বিদিশাকে পছন্দ সবার। এদিকে সম্প্রতি ইটিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বিদিশাও রাজনীতিতে এসে কিছু একটা করার ইঙ্গিত দিয়েছেন। বিদিশা বলেন, ‘এরশাদ সাহেব ওনার ভাইকে তার জায়গায় বসিয়েছেন, আমি এটিকে স্বাগত জানাই। এটি একটি ভালো সিদ্ধান্ত। আমি আশা করবো ওনিও এরশাদ সাহেবের মত সারাদেশ ঘুরবেন, সব নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন করবেন। এছাড়া যাদের জাতীয় পার্টি থেকে বহিস্কার করা হয়েছে তাদেরও ফিরিয়ে আনবেন। এখন যিনি মহাসচিব আছেন তিনি অবশ্যই একজন ডায়নামিক মানুষ বলে মনে করছি।’

হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের সাবেক এই স্ত্রী আরও বলেন, ‘জাতীয় পার্টিতে তো এখন আমি সেভাবে নেই। যখন আমি ছিলাম তখন সক্রিয়ভাবে রাজনীতি করেছি। আমি সবাইকে একসাথে সমন্বয় করেছি। বিএনপির রোষানলে পড়ে রাজনীতি থেকে বিদায় নিতে হয়েছে আমাকে। আমার সঙ্গে জেল জুলুম অত্যাচার সবই হয়েছে। এরপর প্রায় ১০ বছর সক্রিয় না থাকলেও আামি সামাজিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত রয়েছি।’ বিদিশা এরশাদ বলেন, ‘আমি যদি এখন জাতীয় পার্টিতে ফেরত যাই। আমি চেষ্টা করবো বিএনপিকে ভেঙ্গে তাদের নেতাদের দলে নিয়ে আসার। বিএনপি তো শেষ। তাই বিএনপির নেতারা এখন দল হারা। তাদের ভালো ভালো নেতাদের এনে সব নেতা কর্মীদের সক্রিয় করতাম। জাতীয় পার্টি তখন বিরোধী দল হিসেবে আরো ভালো ভূমিকা পালন করতে পারতো।’ উল্লেখ্য, গত ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে এ আসনে মোট ৮৪টি কেন্দ্র থেকে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে পেয়েছিলেন ৬০ হাজার ২১৪টি ভোট। অপরদিকে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ধানের প্রতীকে রিটা রহমান পান ২৪ হাজার ২৩৭ ভোট।

ইনিউজ ৭১/এম.আর