ইতিবাচক ও গঠনমূলক সমালোচনা করার সুজোগ দেয়া সরকারের উচিত

নিজস্ব প্রতিবেদক
সৌরভ নূর , বিশেষ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: শুক্রবার ৪ঠা জানুয়ারী ২০১৯ ০৫:৫২ অপরাহ্ন
ইতিবাচক ও গঠনমূলক সমালোচনা করার সুজোগ দেয়া সরকারের উচিত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেছেন, এবার যে বিশাল নিজদলিয় সাংসদ নিয়ে সংসদ গঠন করলেন তাতে সরকারের উচিত বিরোধী দলকে তো বটেই নিজ দলীয়দেরকেও ইতিবাচক ও গঠনমূলক সমালোচনা করার সুজোগ দেয়া। সেক্ষেত্রে বিএনপি-ঐক্যফ্রন্টের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের সংসদে কথা বলার সুজোগ বেশি এবং নিজেদের দাবি-দাওয়া তুলে ধরতে পারবেন। এছাড়া দীর্ঘ সময় ধরে যে তারা জনসম্পৃত্তার বাইরে রয়েছেন সেই যায়গাথেকেও নিজেদেরকে আবার জনসম্পৃপ্ত করার সুজোগ পাবেন। ৩ জানুয়ারি ২০১৯ বাংলা টিভির টকশো আয়োজনে তিনি একথা বলেন।তিনি আরও বলেন, সময়ের বির্বতনে সবকিছুই পরিবর্তন হয়। এটই সত্য। এখন দেখতে হবে এই পরিবর্তন আমাদেরকে কোনদিকে নিয়ে যাচ্ছে ? আমরা উন্নতির দিকে ধাবিত হচ্ছি না কী ক্রমান্নেয়ে নিচের দিকে নামছি এটাই লক্ষ্যনীয়।

ঐক্যপ্রন্টের যে সাতজন এবার  নির্বাচিত হয়েছেন তাদের উচিত সংসদে উপস্থিত হওয়া। কারণ তারা নিদৃষ্ট একটি এলাকার নির্বাচিত প্রতিনিধি। দলিয় কারণ বিবেচনা করে সংস বর্জন করা মানে তার ঐই নির্বাচনী এলাকার মানুষের সাথে প্রতারণা করা। সংসদে উপস্থিত থেকে পাশাপাশি তাদের দলিয় কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়া যেত পারে। এই মিডিয়া যুগে একজন সংসদ সদস্যও সংসদে তার মতামত রাখতে পারে এবং মিডিয়ার মাধ্যমে জনমত গড়েতোলা সম্ভব বলে মনে করেন গণ যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের এই অধ্যাপক।আরেফিন সিদ্দিক আরও বলেন, সংসদীয় গণতন্ত্রে  প্রধানমন্ত্রী যে কেবিনেট ধারণ করেন সেখানে কে কে থাকবেন সেটা তিনিই বিবেচনা করবেন, এব্যাপারে বাইরে থেকে মন্তব্য করার কিছু নেই। কিন্তু এবারের বড় চেলেঞ্জটা হোলো, এই যে বিশাল সংখ্যক গনমানুষের রায় নিয়ে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করেছে এখন এই রায়ের পেছনে ১৬ কোটি মানুষের কিছু প্রত্যাশা রয়েছে। এবং তারা চাইবেন এগুলো যেনো দ্রুত পূরণ করা হয়। এটা সরকারের জন্য দায়িত্বও বটে।

জাতীয় পার্টি প্রসঙ্গে বলেন, গণতান্ত্রিক শাশন ব্যবস্থায় বিরোধী দলের উপস্থিতির প্রয়োজন আছে। কিন্তু নির্বাচনের ফলাফলের উপর তো আর কিছু করার নেই। মানুষ যেভাবে চেয়েছেন ফলাফল সেভাবেই এসেছে। জাতীয় পার্টি  যেহেতু নির্বাচনী জোট তৈরি করেছিলো এখন তারা চাইলে সরকারী কিংবা বিরোধী দল হিসেবেও থাকতে পারেন। তবে সংসদে বিরোধী দল হিসেবে থেকে সরকারের গঠনমূলক সমালোচনার মাধ্যমে দেশের জন্য, গণতন্ত্রের জন্য, সুশাসনের জন্য আরও অনেক বেশি কার্যকারী ভূমিকা পালন করা যেতে পারে। 

ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব