প্রকাশ: ২৫ জুন ২০২৫, ১৫:৫৭
আন্তর্জাতিক নির্যাতনবিরোধী দিবস উপলক্ষে এক বিবৃতিতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ‘মব জাস্টিস’ এখন মানবতার বিরুদ্ধে এক হিংস্র উন্মাদনায় রূপ নিয়েছে, যা গণতন্ত্রের বিকাশকে বাধাগ্রস্ত করছে। তিনি বলেন, ২৬ জুন জাতিসংঘ ঘোষিত নির্যাতনবিরোধী দিবসটি নিপীড়িতদের প্রতি শ্রদ্ধা ও সহানুভূতির প্রকাশ। এই দিনে নির্যাতিতদের প্রতি সহমর্মিতা জানিয়ে বিশ্বের প্রতিটি বিবেকবান মানুষের সোচ্চার হওয়া উচিত।
তারেক রহমান বিবৃতিতে উল্লেখ করেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর স্বাধীনতা এলেও বিশ্বব্যাপী সহিংসতা ও সংঘাত বন্ধ হয়নি। আজও বহু মানুষ রক্তাক্ত হানাহানির শিকার হচ্ছে। তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদী শাসকরা তাদের বিরোধীদের ওপর ভয়ঙ্কর নিপীড়ন চালিয়ে যাচ্ছে এবং বিরোধী কণ্ঠ রোধে বিচারবহির্ভূত হত্যা, গুম ও মিথ্যা মামলায় মানুষকে বছরের পর বছর বন্দি রাখা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে আওয়ামী ফ্যাসিবাদী শাসনের অধীনে গত ১৬ বছর ধরে মানুষের সব ধরনের অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে। মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতাকে খর্ব করা হয়েছে। দেশের সর্বস্তরে ভয় ও শঙ্কার পরিবেশ সৃষ্টি করে রেখেছে সরকার।
তারেক রহমান অভিযোগ করেন, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় বন্দি করে রেখে চিকিৎসার সুযোগ থেকেও বঞ্চিত করা হয়েছে। মানুষের মৌলিক অধিকার, বিশেষ করে মানবতা ও ন্যায়বিচারের পথ রুদ্ধ করে দেওয়া হয়েছে, যাতে কেউ প্রতিবাদ না করতে পারে।
তিনি বলেন, সরকারের পোষ্য সন্ত্রাসীরা বিচারহীনতার সংস্কৃতি তৈরি করেছে। নারী ও শিশুসহ সাধারণ মানুষ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। মানুষের অধিকার কেবল গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থায়ই রক্ষা পেতে পারে।
তারেক রহমান আশঙ্কা প্রকাশ করেন, ‘মব জাস্টিস’-এর মতো উন্মত্ত সংস্কৃতি গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের ভিত্তিকে নড়বড়ে করে দেবে। একমাত্র গণতান্ত্রিক ঐক্য এবং মানবতার প্রতি শ্রদ্ধাশীল সমাজই পারে এ অবস্থা থেকে মুক্তি দিতে।
তিনি বিশ্ববাসীকে আহ্বান জানান নির্যাতিতদের পাশে দাঁড়াতে এবং ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার পথে যেকোনো প্রতিবন্ধকতা দূর করতে একযোগে কাজ করার। অবশেষে তিনি বলেন, গণতন্ত্রকামীদের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার মাধ্যমেই মানবতাবিরোধী শাসকদের রুখে দেওয়া সম্ভব।