বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, যেকোনো রাজনৈতিক দলকে স্বাগত জানানো হলেও সরকারের সুযোগ-সুবিধা নিয়ে দল গঠন মেনে নেওয়া হবে না। তিনি অন্তর্বর্তী সরকারকে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, না হলে জনগণের আস্থা নষ্ট হবে।
বুধবার ঢাকার কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে মহানগর ছাত্রদলের সদস্য সংগ্রহ ফরম বিতরণ, সদস্য নবায়ন ও নতুন ধারার ছাত্ররাজনীতি বিষয়ক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, দেশের মানুষ দ্রুত গণতান্ত্রিক পরিবেশে ফিরতে চায়, কিন্তু সাত মাসেও সে অবস্থায় পৌঁছানো সম্ভব হয়নি।
তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার দ্রুত নির্বাচন অনুষ্ঠানের চেষ্টা করছে, তবে এর মধ্যেই কিছু সন্দেহ সৃষ্টি হয়েছে। জনগণের মনে প্রশ্ন উঠেছে, সরকার আদৌ নির্বাচন নিয়ে আন্তরিক কিনা। তিনি বলেন, স্থানীয় সরকার উপদেষ্টার বক্তব্যে বোঝা যাচ্ছে, তারা নিজেদের স্বার্থে ফ্যাসিস্টদের জায়গা দিতে চায়।
ফখরুল বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের নিরপেক্ষতা হারানোর শঙ্কা তৈরি হয়েছে। তিনি আরও বলেন, আগেই সতর্ক করেছিলেন, যদি নিরপেক্ষতা হারানো হয়, তাহলে আরেকটি নিরপেক্ষ সরকারের প্রয়োজন হবে। তিনি বলেন, তখন তার বক্তব্যের বিরোধিতা করা হলেও এখন তা সত্যি প্রমাণিত হচ্ছে।
তিনি বলেন, এক এগারোর সময় যারা ক্ষমতায় এসেছিল তারা টিকে থাকতে পারেনি। সেই অভিজ্ঞতা থেকেই আবারও সবাইকে সতর্ক হতে হবে। জনগণ গণতন্ত্র চায়, কোনো ফ্যাসিস্ট শাসন চায় না।
ফখরুল বলেন, এক এগারোর মতো কিছু হলে জনগণ তা প্রতিরোধ করবে। তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, গণতন্ত্রকে বিসর্জন দিয়ে কেউ যদি একদলীয় শাসনের দিকে যেতে চায়, তাহলে জনগণ তা মেনে নেবে না।
তিনি আরও বলেন, সরকারকে এখনই সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে। যদি নিরপেক্ষতা না থাকে, তাহলে জনগণের আস্থা হারাবে তারা। তিনি জনগণকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান এবং বলেন, গণতন্ত্রের পক্ষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
সভায় ছাত্রদল নেতারা বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করতে হবে। তারা সরকারের নীতি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন এবং বলেন, প্রকৃত গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে তরুণদের ভূমিকা রাখতে হবে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।