প্রকাশ: ৭ জুলাই ২০২৫, ১৯:৪২
কোনো ট্যাগ পাওয়া যায়নি
টানা কয়েক দিনের ভারী বর্ষণে কক্সবাজারের টেকনাফে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে পড়েছে। উপজেলার প্রায় প্রতিটি ইউনিয়নের শতাধিক এলাকায় দেখা দিয়েছে জলাবদ্ধতা। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন প্রায় দেড় হাজার পরিবার।
বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) সন্ধ্যা থেকে শুরু হওয়া ভারী থেকে মাঝারি বৃষ্টি সোমবার (৭ জুলাই) বিকেল পর্যন্ত থেমে থেমে অব্যাহত রয়েছে। স্থানীয় আবহাওয়া দফতরের তথ্যমতে, গত ২৪ ঘণ্টায় টেকনাফে ১৪৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
উপজেলার শীলবনিয়া পাড়া, অলিয়াবাদ, চৌধুরীপাড়া, কেকে পাড়া, জালিয়াপাড়া ও কলেজ পাড়ার একাংশসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় শত শত ঘরবাড়ি পানির নিচে তলিয়ে গেছে। একই সঙ্গে টেকনাফ সরকারি কলেজসহ একাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্লাবিত হয়েছে।
হ্নীলা, হোয়াইক্যং ও সাবরাং ইউনিয়নের অনেক গ্রামে সরকারি বরাদ্দকৃত ঘরবাড়িসহ ব্যক্তিমালিকানাধীন বসতবাড়িতে পানি ঢুকে পড়েছে। পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছেন হাজারেরও বেশি মানুষ। অনেকেই এখনো রান্নার সুযোগ পাননি।
স্থানীয় বাসিন্দা কামাল উদ্দিন জানান, হ্নীলার রঙ্গিখালী গ্রামে প্রায় ৩০০ পরিবার দীর্ঘদিন ধরেই বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতায় ভোগছে। অল্প বৃষ্টিতেই ঘরবাড়ি পানিতে তলিয়ে যায়। তিনি বলেন, “আমরা ত্রাণ চাই না, স্থায়ী সমাধান চাই।”
ইউপি সদস্য বশির আহমদ জানান, খাল দখল ও ড্রেনেজ ব্যবস্থা দুর্বল হওয়ার কারণে জলাবদ্ধতার প্রকোপ বাড়ছে। এই অবস্থায় অনেক ঘরবাস অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। সাধারণ মানুষের স্বাভাবিক চলাফেরা ব্যাহত হচ্ছে।
সাবরাংয়ের জামাল উদ্দিন বলেন, “বাড়িতে পানি ঢুকে যাওয়ায় খাওয়া-দাওয়াও সম্ভব হচ্ছে না। চারদিকে শুধু পানি আর পানি।”
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ এহসান উদ্দিন জানিয়েছেন, পরিস্থিতি মোকাবিলায় ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় মাইকিং করে লোকজনকে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এছাড়া ইউপি চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে শুকনো খাবার বিতরণ কার্যক্রম চলছে।
এদিকে, বৈরি আবহাওয়ার কারণে সেন্টমার্টিনগামী সব যাত্রীবাহী সার্ভিস বোট বন্ধ রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।