সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের তথ্য নেই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে!

নিজস্ব প্রতিবেদক
জিয়াউল হক জুয়েল (স্টাফ রিপোর্টার)
প্রকাশিত: সোমবার ২৭শে জানুয়ারী ২০২৫ ০৭:৪১ অপরাহ্ন
সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের তথ্য নেই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে!

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থায় (ডব্লিউএইচও) কর্মরত ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের দ্বৈত নাগরিকত্ব এবং ভারতে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে রেড অ্যালার্ট জারির বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে কোনও সুনির্দিষ্ট তথ্য নেই। সোমবার (২৭ জানুয়ারি) এক সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রফিকুল আলম এই তথ্য জানিয়েছেন।


রফিকুল আলম বলেন, সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের দ্বৈত নাগরিকত্ব নিয়ে কোনো তথ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে নেই। তিনি আরও জানান, ভারতে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে রেড অ্যালার্ট জারির বিষয়ে তাদের কাছে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে, সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের বিষয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থায় তার যোগ্যতার সাথে সংশ্লিষ্ট তথ্যের জন্য দুদক (দুর্নীতি দমন কমিশন) সম্প্রতি জানায় যে, তার মনোনয়নকালে তিনি কানাডার নাগরিক ছিলেন, এবং ওই সময় কানাডার পাসপোর্টও তার হাতে ছিল।


ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সীমান্ত নিয়ে চলমান উত্তেজনার বিষয়ে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে উত্তেজনা সত্ত্বেও, বাংলাদেশ সব দেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক চায়। তিনি ভারতসহ অন্য দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ককে আরও সুদৃঢ় করার জন্য সরকারকে দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ বলে উল্লেখ করেন।


এছাড়া, ভারতের বেঙ্গালুরুতে বাংলাদেশি নারী ধর্ষণের ঘটনা সম্পর্কে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জানান, মন্ত্রণালয়ের কাছে এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য নেই। তবে, এ নিয়ে বাংলাদেশ মিশন ইতোমধ্যে খোঁজখবর নিচ্ছে এবং বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে।


প্রসঙ্গত, একদিন আগে, দুদক জানায় যে, সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের ডব্লিউএইচও’র দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক হিসেবে প্রার্থীর যোগ্যতা সম্পর্কিত তথ্যাদি যথাযথ ছিল না। এবং তিনি কানাডার নাগরিক থাকাকালে ওই পদে মনোনীত হয়েছিলেন, যা তার যোগ্যতার প্রশ্নে নতুন বিতর্ক তৈরি করেছে।


এ ছাড়া, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রফিকুল আলম আরও জানান, কিছু ইউরোপীয় দেশ, যেমন রোমানিয়া, বর্তমানে ঢাকা থেকে ভিসা ইস্যু করছে না। এটি মূলত ওই দেশের অর্থনৈতিক কারণে হয়ে থাকে। তবে, তিনি জানিয়ে দেন যে, ফিফা প্রেসিডেন্টের ঢাকা সফরের সম্ভাবনা রয়েছে, যা আগামী মার্চে ঘটতে পারে।