রাঙামাটির বাঘাইছড়ির পর্যটন কেন্দ্র সাজেক যাওয়ার পথে একটি জিপ দুর্ঘটনায় অন্তত ৮ জন পর্যটক আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ৬ জনের অবস্থা গুরতর। আহতরা সবাই চাপাইনবয়াবগঞ্জ ও নাটোরের বাসিন্দা বলে জানা গেছে, তবে দুর্ঘটনার পর তৎক্ষণাৎ তাদের পরিচয় সনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।
২৭ জানুয়ারি, সোমবার সকালে এই দুর্ঘটনা ঘটে। মাচালং বাজার থেকে দুই কিলোমিটার আগে একুজ্জাছড়ি উত্তর পাড়ায় পর্যটকবাহী জিপটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায়। এতে গাড়িতে থাকা ১২ জন পর্যটকের মধ্যে ৮ জন আহত হন। দুর্ঘটনার পর স্থানীয়রা দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে আহতদের উদ্ধার করে। তাদের মধ্যে ৬ জনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদেরকে দ্রুত চিকিৎসার জন্য দিঘীনালা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর আরও কয়েকজনকে খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার শিরিন আক্তার এই দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার কাজ শুরু করেছে এবং আহতদের চিকিৎসা নিশ্চিত করতে স্বাস্থ্য বিভাগের সঙ্গে সমন্বয় করছে।
এটি প্রথম নয়, এর আগেও গত ৭ জানুয়ারি সাজেক এলাকায় পর্যটকবাহী একটি জিপ উল্টে অন্তত ১২ জন আহত হন। ওই দুর্ঘটনায় আহতরা নোয়াখালী মহিলা কলেজের শিক্ষার্থী ছিলেন।
সাজেক, রাঙামাটির একটি জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র হলেও সড়ক দুর্ঘটনার হার বেশ উদ্বেগজনক। পর্যটকবাহী যানবাহনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আরও কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি উঠছে। স্থানীয়রা এবং পর্যটকরা জানিয়েছেন, এই ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে গাড়ির চালকদের দক্ষতা এবং গাড়ির অবস্থার প্রতি মনোযোগ দিতে হবে। তারা আরও বলেছেন, প্রশাসন এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যেন পর্যটন এলাকা ও সড়ক নিরাপত্তার জন্য আরও উদ্যোগী হয়।
এছাড়া, দুর্ঘটনাটি পর্যটকদের জন্য সড়ক নিরাপত্তা নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু করেছে। স্থানীয় বাসিন্দারা মনে করেন, গাড়ির অতিরিক্ত যাত্রী নেওয়া, সড়ক অপর্যাপ্ততা এবং চালকদের অসতর্কতা এসব দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে। তাদের দাবি, পর্যটন এলাকায় নিরাপত্তার মান উন্নত করা উচিত।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।