প্রকাশ: ৬ জানুয়ারি ২০২৫, ১৭:৪
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির যৌথ উদ্যোগে আজ থেকে শুরু হচ্ছে ছয় দিনের গণসংযোগ কর্মসূচি। সোমবার (৬ জানুয়ারি) থেকে ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত এই কর্মসূচির আওতায় সারা দেশে জনমত গঠনে কাজ করবে সংগঠন দুটি। কর্মসূচির মূল উদ্দেশ্য জুলাই অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্রে সকল শ্রেণির জনগণের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন নিশ্চিত করা।
জাতীয় নাগরিক কমিটির সহমুখপাত্র মোহাম্মদ মিরাজ মিয়া জানিয়েছেন, কর্মসূচির সময় লিফলেট বিতরণ, গণসমাবেশ এবং বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন সংগঠনের নেতারা। ৩১ ডিসেম্বর ঘোষণাপত্র প্রকাশের প্রতিশ্রুতি পূরণ না হওয়ার কারণে তারা এই উদ্যোগ নিয়েছেন।
এর আগে শনিবার (৪ জানুয়ারি) জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ, মুখ্য সংগঠক আবদুল হান্নান মাসউদ, নাগরিক কমিটির মুখপাত্র সামান্তা শারমিন এবং সহমুখপাত্র সালেহউদ্দিন সিফাত।
সংবাদ সম্মেলনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, ৩১ ডিসেম্বর আমরা ঘোষণাপত্র প্রকাশ থেকে বিরত ছিলাম। কিন্তু এখনো সরকারের পক্ষ থেকে কোনো পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে না। আমরা আশা করি, আগামী ১৫ জানুয়ারির মধ্যে সরকার জুলাই অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র প্রকাশ করবে। এই ঘোষণাপত্রে যেন জনগণের সকল শ্রেণির আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটে।
জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে তেমন কোনো বিরোধ নেই। তবে দৃষ্টিভঙ্গিগত কিছু পার্থক্য রয়েছে, যা ইতোমধ্যে সমাধান করা হয়েছে। ৫ আগস্টের মতো জনগণের ভাষা ও অধিকার ঘোষণাপত্রে থাকবে বলে আশা করছি। দীর্ঘদিন ধরে যারা অধিকার আদায়ে সংগ্রাম করেছেন, তাদের দাবি নিশ্চিত করতে আমরা বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি।
এ কর্মসূচির মাধ্যমে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি তাদের দাবির প্রতি সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চায়। একই সঙ্গে তারা আশা করছে, এই ঘোষণাপত্র বাংলাদেশের জনগণের দীর্ঘদিনের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটাবে। ছয় দিনের এই কর্মসূচি রাজনৈতিক এবং সামাজিক অঙ্গনে নতুন আলোচনার জন্ম দেবে।