বহুল আলোচিত একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ ১৯ জন আসামিকে খালাস দিয়েছে হাইকোর্ট। রবিবার (১ ডিসেম্বর) বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ এই রায় ঘোষণা করেন।
প্রথমে ঢাকার জজ আদালত এই মামলায় ১৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড, তারেক রহমানসহ ১৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ১১ পুলিশ ও সেনা কর্মকর্তাকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছিল। তবে, হাইকোর্টের রায়ে সব আসামির বিরুদ্ধে দেয়া নিম্ন আদালতের সাজা বাতিল করা হয়েছে।
রায়ে খালাস পাওয়া আসামিদের মধ্যে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, সাবেক উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টু, মেজর জেনারেল (অব.) রেজ্জাকুল হায়দার চৌধুরী, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবদুর রহিম, হানিফ পরিবহনের মালিক মো. হানিফ, জঙ্গি নেতা মাওলানা তাজউদ্দীন, মাওলানা শেখ আবদুস সালাম, মাওলানা শেখ ফরিদ, মাওলানা আবু সাইদ, মুফতি মঈনউদ্দিন শেখ, হাফেজ আবু তাহের, মো. ইউসুফ ভাটসহ আরো বেশ কয়েকজন উল্লেখযোগ্য ব্যক্তির নাম রয়েছে।
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট ঢাকার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলা চালানো হয়, যাতে আওয়ামী লীগের মহিলা-বিষয়ক সম্পাদক আইভি রহমানসহ ২৪ জন নিহত এবং শেখ হাসিনাসহ কয়েকশ নেতা-কর্মী আহত হন। তাদের মধ্যে অনেকে আজও শরীরে গ্রেনেডের স্প্লিন্টার নিয়ে বেঁচে আছেন এবং অনেকেই চিরতরে পঙ্গু হয়ে গেছেন। এই হামলার ঘটনা দেশে এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছিল।
হাইকোর্টের রায়ের পরবর্তী পদক্ষেপ সম্পর্কে আইনজীবীরা জানান, এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করা হতে পারে। একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ ও অন্ধকার দাগ হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।