আ.লীগের ২০০ নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ: ব্যারিস্টার সুমনের নাম শীর্ষে

নিজস্ব প্রতিবেদক
জেলা প্রতিনিধি, সুনামগঞ্জ
প্রকাশিত: বুধবার ১১ই সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৩:১১ অপরাহ্ন
আ.লীগের ২০০ নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ: ব্যারিস্টার সুমনের নাম শীর্ষে

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার নির্দেশ দেওয়ার অভিযোগে সাবেক এমপি ও ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন এবং আওয়ামী লীগ ও এর বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের ২০০ জন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। চুনারুঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিল্লোল রায় জানিয়েছেন, গত মঙ্গলবার রাতে চুনারুঘাটের নোয়াগাঁও গ্রামের মো. মোস্তাফিজুর রহমান বাদী হয়ে এই মামলা করেন।


মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, ৯৭ জনের নাম নির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে, এছাড়া ১৫০ থেকে ২০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি হিসেবে অভিযুক্ত করা হয়েছে। অভিযুক্তদের মধ্যে আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতারা এবং বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যরা রয়েছেন।


মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত ১৬ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে শায়েস্তাগঞ্জ নতুন ব্রিজ গোলচত্বরে একটি প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে, ব্যারিস্টার সুমনের নির্দেশে অভিযুক্তরা ছাত্র-জনতার ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন এবং দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলা চালান। এই হামলায় আন্দোলনের নেতাকর্মীসহ অসংখ্য সাধারণ মানুষ আহত হন।


অভিযোগে আরও বলা হয়, আন্দোলনের সময় মানিক সরকার নামে একজন আসামি, ব্যারিস্টার সুমনের নির্দেশে বড়গাঁও এলাকার ইয়াকুব আলীর ছেলে অলিউর রহমানকে রামদা দিয়ে আঘাত করেন। এসময় অন্য এক আসামি, করিব মিয়া খন্দকার, রড দিয়ে অলিউর রহমানকে মারধর করেন, ফলে তিনি গুরুতর আহত হন। অভিযুক্ত অন্যান্য আসামিরাও একইভাবে অস্ত্র হাতে নিয়ে আন্দোলনরত জনতার ওপর হামলা চালান।


অন্য অভিযুক্তদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন চুনারুঘাট পৌরসভার সাবেক মেয়র সাইফুল আলম রুবেল, ছয়টি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান জাকির হোসেন পলাশ, রুমন ফরাজী, মানিক সরকার, মোস্তাফিজুর রহমান রিপন, ওয়াহেদ আলী, ও আব্দালুর রহমান। এছাড়া, চুনারুঘাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক পিপি এম আকবর হোসেইন জিতু, সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার আলী, যুগ্ম সম্পাদক সজল দাশ, তাতীলীগ সভাপতি করিব মিয়া খন্দকার এবং কাউন্সিলর আব্দুল হান্নানসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ এই মামলার আওতায় এসেছেন।


মামলার বিষয়ে চুনারুঘাট থানা পুলিশ জানিয়েছে, তদন্ত শুরু হয়েছে এবং অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এদিকে, এই ঘটনায় স্থানীয় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে, এবং সাধারণ মানুষ ব্যাপকভাবে এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে।