৭০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত বিএনপি নেতা হাবিব জামিনে মুক্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক
বিশেষ প্রতিবেদক - আইন আদালত
প্রকাশিত: বুধবার ৪ঠা সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৪:০৩ অপরাহ্ন
৭০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত বিএনপি নেতা হাবিব জামিনে মুক্ত

সাতক্ষীরার কলারোয়ায় শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলার মিথ্যা মামলায় ৭০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত হয়ে দীর্ঘদিন কারাভোগের পর জামিনে মুক্তি পেয়েছেন সাতক্ষীরা-১ আসনের সাবেক এমপি ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা হাবিবুল ইসলাম হাবিব। উচ্চ আদালত থেকে জামিনের আদেশ পাওয়ার পর আজ মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে কেরানীগঞ্জস্থ ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান তিনি।


সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) বিএনপি নেতা হাবিবুল ইসলাম হাবিবের পৃথক তিনটি জামিননামা সম্পাদন করেন সাতক্ষীরা জেলা জজ আদালতের সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট আব্দুল মজিদ। গত ২৭ আগস্ট দুপুরে উচ্চ আদালতের ১১ নম্বর বেঞ্চ থেকে তিনিসহ কারাগারে থাকা ৪৬ বিএনপির সব নেতাকর্মীকে জামিন দেওয়া হয়।



এদিকে হাবিবুল ইসলাম হাবিবের জামিনে মুক্তি পাওয়ার খবরে মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) দুপুর থেকে সাতক্ষীরাসহ তালা-কলারোয়া এলাকার সহস্রাধিক নেতা কর্মী তাকে স্বাগত জানানোর জন্য কেরাণীগঞ্জস্থ ঢাকা কেন্দ্রীয়য় কারাগারের সামনে ভিড় জমান। মিছিলটি নানা শ্লোগানে বিএনপি নেতা হাবিবকে নিয়ে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আসে।


বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, তথ্যবিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল তাকে স্বাতত জানান। পরে সবার সঙ্গে সাক্ষাত করে কুশল বিনিময় করেন। শারীরিকভাবে অসুস্থ থাকায় পরে ধানমন্ডিস্থ বাসভবনে চলে যান।



এ সময় সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমানে যুগ্ম আহবায়ক তারিকুল হাসান, জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি আবুল হাসান হাদি, জেলা যুবদলের প্রধান সমন্বয়ক আইনুল ইসলাম নান্টাসহ সাতক্ষীরা জেলা, তালা ও কলারোয়ার বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা ছিলেন। 


অ্যাডভোকেট আব্দুল মজিদ বলেন, ২০০২ সালে কলারোয়ায় শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে হামলার ঘটনার ১২ বছর পর কলারোয়া থানায় একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়। এই মামলায় তদন্তকারী কর্মকর্তা আদালতে পৃথক তিনটি চার্জশীট দাখিল করেন। যার প্রেক্ষিতে আদালত সাবেক এমপি হাবিবসহ ৫০ জন বিএনপি নেতাকর্মীকে অস্ত্র ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা প্রদান করেন। এর মধ্যে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা হাবিবকে সর্বোচ্চ ৭০ বছরের সাজা প্রদান করে আদালত।