লকডাউনে পুরো পৃথিবীই স্থবির হয়ে গেছে। যানবাহন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বাড়ি থেকে দূরে থাকা কর্মজীবীরা ফিরতে পারেননি স্বজনদের কাছে। তাই অভিনব এক পদ্ধতি বের করলেন মুম্বাই বিমানবন্দরের কর্মী প্রেমমূর্তি পাণ্ডে। নিজ গ্রাম এলাহাবাদে স্বজনদের কাছে ফিরতে মরিয়া হয়ে যাওয়া প্রেমমূর্তি লকডাউনে স্বজনদের কাছে পৌঁছাতে আটেন অভিনব এক পন্থা। রাতারাতি বিমানকর্মী থেকে পেঁয়াজ ব্যবসায়ী হয়ে যান তিনি।
প্রেমমূর্তি পাণ্ডে জানান, বাস-ট্রাম চলছে না। বিমান পরিষেবাও বন্ধ। করোনা সংক্রমণ রুখতে লকডাউনের নিয়ম মেনেই স্তব্ধ গোটা দেশের জনজীবন। আমি অনুভব করেছিলাম সরকার কেবল একটা রাস্তাই খোলা রেখেছে। অত্যাবশ্যক পণ্যের সরবরাহে কোনো বাধা নেই। তাই এই পরিকল্পনা করি।
তিনি আরো জানান, প্রতি কেজি ৯.১০ টাকা দরে ২৫,৫২০ কেজি পেঁয়াজ কিনেন তিনি। শুধু পেঁয়াজই নয় ১৩০০ কেজি তরমুজ কিনেন। এরপর ১৭ এপ্রিল নাসিক থেকে পিম্পলগাঁওয়ের একটি ছোট ট্রাক ভাড়া করেন। ১০,০০০ টাকা দিয়ে তরমুজ কিনে তিনি ট্রাকটি মুম্বাই পাঠান। এরপর ৭৭,৫০০ টাকা খরচ করে একটি ট্রাক ভাড়া করে ২০ এপ্রিল রওনা দেন তিনি।
২৩ এপ্রিল তিনি সেখানে পৌঁছে সরাসরি চলে যান মুন্দেরা পাইকারি বাজারে। কিন্তু কোনো ক্রেতা না পেয়ে সব নিয়েই চলে আসেন তার গ্রাম কোতোয়া মুবারকপুরে। কিন্তু সেখানেও বিক্রি করতে পারেননি।
তবে বিক্রি নিয়ে প্রেমমূর্তি বেশ আশাবাদী। তিনি জানান, কেউ না কেউ সেগুলো ঠিকই কিনবেন। এখন মধ্যপ্রদেশের সাগর থেকে আসা পেঁয়াজে পুরো বাজার ভর্তি। এগুলো ফুরোলেই নাসিকের পেঁয়াজের ক্রেতা তিনি পেয়ে যাবেন।
টিপি নগরের পুলিশ পোস্টের দায়িত্বপ্রাপ্ত অরবিন্দকুমার সিংহ জানান, প্রেমমূর্তি ধুমানগঞ্জ থানায় আসেন শুক্রবার। তাকে পরীক্ষা করে মেডিকেল টিম। এরপর তাকে ১৪ দিনের জন্য কোয়ারান্টাইনে পাঠানো হয়।
ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।